Ration Scam: রাত প্রায় জেগেই কাটালেন জ্যোতিপ্রিয়, সকাল থেকে সামলাচ্ছেন ইডির প্রশ্নবাণ

ইডি হেফাজতে মন্ত্রীকে প্রথম রাত কাটাতে হয়েছে মেঝেতে শুয়েই...
jyotipriya_mallick2
jyotipriya_mallick2

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোম-রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Ration Scam) সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়েছিল ইডি। আর মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইডির তদন্তকারীদের প্রশ্নবাণ সামলাচ্ছেন উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা।

১০ দিনের ইডি হেফাজত

রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হওয়ার পর আদালতে তোলা হয়েছিল জ্যোতিপ্রিয়কে। সেখানে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনেই জ্ঞান হারান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সোমবার রাতে ছাড়া পান তিনি। তার পর তাঁকে হেফাজতে নেয় ইডি। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির (Ration Scam) মূলে পৌঁছতে জ্যোতিপ্রিয় ও ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভেবেছিলেন ইডির তদন্তকারীরা।

ভেস্তে গেল ইডির পরিকল্পনা

মন্ত্রিমশাই অসুস্থ হয়ে পড়ায় ইডির সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। কারণ ইডি হেফাজত শেষ হয়ে গিয়েছে বাকিবুরের। তদন্তকারীদের ধারণা ছিল, জ্যোতিপ্রিয় ও বাকিবুরকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসবে বিড়াল। তবে আপাতত তা না হওয়ায়, কীভাবে সত্যের গভীরে পৌঁছানো যায়, তা নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছেন তদন্তকারীরা। এদিকে, ইডি হেফাজতে মন্ত্রীকে প্রথম রাত কাটাতে হয়েছে মেঝেতে শুয়েই। মেঝেতেই তাঁকে গদি পেতে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই রাত কাটান উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা।

আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

তবে মেঝেতে গদি পেতে দেওয়া হলেও, ঠিকঠাক ঘুম হয়নি জ্যোতিপ্রিয়র। সূত্রের খবর, রাতের বেশিরভাগ সময়টাই ঘরের মধ্যে পায়চারি করেছেন তিনি। ভোরের দিকে ক্লান্তি এলে খানিক ঘুমোন। মঙ্গলবার সাত তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে পড়েন জ্যোতিপ্রিয়। সকাল ৮টা নাগাদ খালি পেটে তিন ধরনের ওষুধ খান। কিছুক্ষণ পরে খান চিনি ছাড়া লিকার চা, সঙ্গে সুগার ফ্রি বিস্কুট এবং পাউরুটি। বেলা ১০টা নাগাদ শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব।

জ্যোতিপ্রিয়কে গ্রেফতার করার আগে ইডি গ্রেফতার করেছিল বাকিবুরকে। বাকিবুরকে জেরা করতেই উঠে আসে মন্ত্রিমশাইয়ের নাম। তার আগে তল্লাশি (Ration Scam) চালানো হয় ১১টি চালকলে। তখনই জানা গিয়েছে, একাধিক শেল কোম্পানির মাধ্যমে রেশনের টাকা নয়-ছয় করা হয়েছে। ইডির দাবি, এই সব ভুয়ো কোম্পানি জ্যোতিপ্রিয় চালাতেন স্ত্রী, পরিবারের অন্যান্য সদস্য এবং বাকিবুরের পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles