Justice Abhijit Gangopadhyay: “আর দু’ দিন সময় দিন…” , হাইকোর্টে আর্জি মলয়ের

বিচারপতির তলব পেয়ে পঁচিশ মিনিটের মধ্যেই আদালতে হাজির হয়ে যান মলয়...
abhijit_high_court
abhijit_high_court

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আর দু দিন সময় দিন..।” বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Justice Abhijit Gangopadhyay) এমনই আবেদন জানালেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। হাইকোর্ট নির্দেশ দেওয়ার পরেও কেন বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি? বদলির ফাইল রাজ্যের আইনমন্ত্রীর কাছে আটকে রয়েছে বলে দাবি। এর পরেই আধ ঘণ্টার মধ্যে আইনমন্ত্রীকে আদালতে তলব করলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির তলব পেয়ে পঁচিশ মিনিটের মধ্যেই আদালতে হাজির হয়ে যান মলয়।

আদালতে মলয়ের বক্তব্য

আদালতে (Justice Abhijit Gangopadhyay) রাজ্যের আইনমন্ত্রী বলেন, “আমি ২৫ অগাস্ট থেকে চারদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। তারপরে কাজে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত আমাকে সময় দেওয়া হোক। ফাইলে সই হয়ে যাবে।” বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ব্যাপারটা অন্যভাবে নেবেন না। আপনি আপনার হাইকোর্টে এলেন। আপনার হাসি মুখ দেখলাম। আগে অলিন্দে দেখা হত। ৬ অক্টোবর পর্যন্ত ওই পদে নিয়োগের সময় বাড়ানো হল।”

রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কী নির্দেশ দিল আদালত?

এদিন রাজ্যের মুখ্যসচিবকে আদালতের নির্দেশ, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে জানাবেন কোনও ব্যক্তি এই নিয়োগ তদন্তে যুক্ত সিবিআই এবং ইডির সিটে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ ছাড়া অভিযোগ জানাতে পারবেন না। বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ২০১৪ সালের নিয়োগ পরীক্ষার এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়েছিল কিনা যেখানে মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করা হবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সেটা যাচাই করতে।

প্রসঙ্গত, কাগজপত্র আইনমন্ত্রীর (Justice Abhijit Gangopadhyay) কাছে থাকায় আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি – বিচারবিভাগের সচিবের কাছে এ কথা শোনার পরেই মলয়কে তলব করেছিলেন বিচারপতি।

আরও পড়ুুন: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের করা অভিযোগের ভিত্তিতে দায়ের মামলায় হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে সিট গঠন করায় সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৪ অক্টোবরের মধ্যে তাঁর পরিবর্তে অন্য বিচারপতি নিয়োগ করার নির্দেশ দেন তিনি। এও জানান, নতুন বিচারক না আসা পর্যন্ত ওই আদালতে স্থগিত থাকবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি। তাঁর বদলির নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি, তা জানতে আদালতে জুডিশিয়াল সেক্রেটারিকে তলব করেন।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles