মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য সময় দেওয়া হয়েছিল ১০ দিন। তবে তার আগেই আস্থাভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে প্রস্তুত ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মহাগটবন্ধনের সরকার। জেএমএম নেতৃত্বাধীন মহাগটবন্ধন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তিন দিনের মধ্যেই আস্থাভোটের মাধ্যমে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন নিয়ে ঝাড়খণ্ডের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন।
চম্পাইয়ের শক্তি
বুধবারই ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন চম্পাই। শাসক দলের বিধায়কদের সকলেই তাঁকে সমর্থন দেওয়ার কথা জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য চম্পাই সরকারকে ১০ দিন সময় দেন রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণণ। ঝাড়খণ্ড বিধানসভার আসন সংখ্যা ৮১। ম্যাজিক ফিগার ৪১। শাসক জোটের পক্ষে রয়েছেন ৪৮ জন বিধায়ক। এর মধ্যে জেএমএমের বিধায়ক সংখ্যা ২৯, কংগ্রেসের ১৬, আরজেডির ১ এবং সিপিআই (লিবারেশন) ১। এই মুহূর্তে চম্পাইয়ের সঙ্গে রয়েছেন ৪৩ জন বিধায়ক। চারজনের খোঁজ মেলেনি।
বিরোধী শিবিরে কারা
আর বিরোধী শিবিরে রয়েছেন ৩২ জন। এঁদের মধ্যে বিজেপির ২৫ জন, আজসুর ৩ জন, এনসিপি (অজিত) ১ এবং নির্দল ৩ জন। যেহেতু আস্থাভোটের জন্য (Jharkhand) রাজ্যপাল ১০ দিন সময় দিয়েছেন, তাই ঘোড়া কেনাবেচার আশঙ্কা করছেন জেএমএম নেতৃত্ব। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই তিন দিনের মধ্যেই আস্থাভোটে অংশ নিতে চাইছে মহাগটবন্ধনের সরকার।
আরও পড়ুুন: আড়াল থেকে কলকাঠি নাড়তেন! আদালতে পার্থর পর্দাফাঁস করল সিবিআই
প্রসঙ্গত, বিধায়ক কেনাবেচার আশঙ্কা থেকেই শুক্রবার মহাগটবন্ধনের ৪০ জন বিধায়ককে কংগ্রেসশাসিত তেলঙ্গনায় উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কড়া প্রহরায় হায়দরাবাদের একটি রিসর্টে রাখা হয়েছে তাঁদের। এদিকে, বিধানসভার আস্থাভোটে হেমন্ত অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়ে দিল রাঁচি আদালত। শনিবার ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে এই অনুমতি দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, জমি জালিয়াতি মামলায় হেমন্তকে গ্রেফতার করেছে ইডি। বুধবার দুপুর থেকে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে হেমন্তের রাঁচির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। রাতে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। গ্রেফতারি আশঙ্কা করেই রাজভবনে গিয়ে ইস্তফা দেন তিনি (Jharkhand)।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours