মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে আনতে মরিয়া তৃণমূল। বিরোধীদের জব্দ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এমনই অভিযোগ। পুরসভা শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্কিমের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই টাকা পেতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝালদার ৭ কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।
বিরোধীদের অভিযোগ
জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঝালদার বাসিন্দা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিরোধী দলের পুরসভা বলেই বিভিন্ন অছিলায় রাজ্য সরকার ঝালদা পুরসভার ‘হাউজ ফর অল প্রকল্প’-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে। সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছি।’’ ঝালদা পুরভবন সূত্রে খবর, ‘হাউজ ফর অল প্রকল্পে’ বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভায় মোট ৩ কোটি টাকা এসেছিল। গত বছরের শেষে বিরোধীদের ডাকা অনাস্থার জেরে তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পদ থেকে সরে যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে ফেরত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝালদার উপপুরপ্রধান পূর্ণিমার দাবি, ‘‘আবেদন-নিবেদনের পরেও সেই টাকা মেলেনি। সুবিচার পেতে মামলা করা করা ছাড়া গতি নেই।’’
আরও পড়ুন: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, 'চোরেদের' না আনার আহ্বান
মামলাকারীদের দাবি
মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি এদিন আদালতে জানান, শাসক দলের হাত থেকে পুরসভা চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে পুরসভা চলছে কীভাবে? আইনজীবী জানান, পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি। টাকা প্রত্যাহার করার কোনও নথি আছে কি না, তা দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর উপ পুরপ্রধান হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours