মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেট এয়ারওয়েজের (Jet Airways) ৬০ শতাংশ কর্মীকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে। বাকি কর্মচারীদের একাংশের শতাংশের বেতন ৫০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে ওই বিমান সংস্থা। মূলত উচ্চ পদস্থদের বেতন কমানো হয়েছে। ১ ডিসেম্বর থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর বলে জানিয়েছে উড়ান সংস্থাটি। জেট এয়ারওয়েজ কিনেছে দুই সংস্থার মিলিত সমবায় কার্লক জালান। কোম্পানি ট্রাইব্যুনালের কিছু নিয়মকানুন এখনও বকেয়া রয়েছে তাদের। সেগুলি পূরণ করতে এখনও কিছুদিন সময় লাগবে তাদের।
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগকাণ্ডে এবার মুর্শিদাবাদের ১৬ স্কুল পরিদর্শককে তলব সিবিআইয়ের
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে জেট এয়ারওয়েজে ২৩০ জন কর্মী রয়েছেন। নিম্ন স্তরে প্রায় ১০০ জন কেবিন ক্রু এবং জুনিয়র ম্যানেজার রয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি থেকে সিনিয়র লেভেলের প্রায় ৬০ জন কর্মীকে বিনা বেতনে ২ মাসের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
কী জানিয়েছে বিমান সংস্থা?
কার্লক জালান একটি বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, "একই কাজের জন্য যে সময় ভাবা হয়েছিল, তার থেকে বেশি সময় লাগছে। সেই কারণে কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখন সেই কারণেই বেতন কাঠামো কিছুটা আঁটোসাঁটো করা হবে। দুই তৃতীয়াংশ কর্মীদের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না। বাকি এক তৃতীয়াংশ কর্মীদের বেতন কমিয়ে দেওয়া হবে।" সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, মোট কর্মীদের ১০ শতাংশকে বিনা বেতনে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে।
জেট এয়ারওয়েজ ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে। বর্তমানে কর্মীদের প্রায় ২৫০ কোটি টাকার পিএফ ও গ্র্যাচুইটি বকেয়া রয়েছে। এদিকে নতুন মালিক কার্লক জালান জানিয়েছে যে এই বকেয়া মেটানোর মতো টাকা তাদের কাছে নেই।
গত মে মাসেই বিমান নিয়ামক সংস্থা ডিজিসিএ জেট এয়ারওয়েজের উড়ান সংক্রান্ত শংসাপত্র ফের বৈধ করেছিল। দেনায় ডুবে ২০১৯ সালেই উড়ান বন্ধ করে এই বিমান সংস্থা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ঋণদাতাদের গোষ্ঠীর দ্বারা জারি করা পিটিশন জুনেই জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইবুনালে গৃহীত হয়। তারপর থেকেই জেট এয়ারওয়েজকে আকাশ পথে ফেরানোর পরিকল্পনা শুরু হয়। দেনা শোধ করে ফের উড়ান স্বাভাবিক করার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু সে পরিকল্পনা যে এখন বিশ বাঁও জলে তা এই ঘটনা থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেল।
+ There are no comments
Add yours