মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা ভারতবাসী যখন হোলির উৎসবে মেতে উঠেছিল, সেই দিনই রাজধানীতে ঘটে যায় এক ঘৃণ্য কাজ। হোলির নামে দিল্লিতে এক বিদেশিনীর সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনায় তোলপাড় দেশ। ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে তিন যুবক। ঘটনাটি নিয়ে নেট মাধ্যমে জোর চর্চা চলছে। গত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে সেই ভিডিওটি। ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক এক জাপানি মহিলাকে (Japanese Woman) জোর করে রং মাখাচ্ছে। দিল্লির পাহাড়গঞ্জ এলাকার এই ভিডিও সাড়া ফেলে দিয়েছিল নেট পাড়ায়। এর পরেই শুক্রবার ভারত ছেড়ে পা রেখেছেন বাংলাদেশে। আর সেখান থেকেই ট্যুইট করে জানিয়েছেন, ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও তিনি ভারতকে ভালোবাসেন।
ট্যুইট করে কী লিখেছেন?
শনিবার ট্যুইট করে ওই জাপানি তরুণী (Japanese Woman) লেখেন, “আমি শুনেছিলাম হোলির সকালে রাস্তায় একা কোনও মহিলার বের হওয়া বিপজ্জনক। তাই আমি ৩৫ জন বন্ধুদের গ্রুপের সঙ্গে বেরিয়েছিলাম ভারতীয় এই উৎসব দেখতে। আমি ভিডিওটি দিয়েছিলাম সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু আমি কখনওই ভাবিনি এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে। আমি সেই ভিডিও ডিলিট করে দিয়েছি।” সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, “আমি ভারতকে ভালবাসি। এর আগেও বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি। আমার ভারতের সবকিছু ভাল লাগে। ভারত ও জাপান চিরকাল 'টোমোদাচি' (বন্ধু) হয়ে থাকবে”
আরও পড়ুন: ১৫ কোটি টাকার জন্য খুন করা হতে পারে সতীশকে, দাবি মহিলার
কী ঘটেছিল?
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, তিন যুবক 'হোলি হ্যাঁ' রব তুলে আপত্তিকর ভাবে জাপানি তরুণীর (Japanese Woman) বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ছুঁচ্ছে। তিন যুবক মিলে মহিলার ওপর বল প্রয়োগ করে তিনজন। একটি যুবক জাপানি তরুণীর মাথায় একটি ডিম ফাটায়। এরপর একজন সেই নির্যাতিতাকে জড়িয়ে ধরতে গেলে তিনি থাপ্পড় মারেন এবং তিনজনের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে সেখান থেকে চলে যান। তবে পরবর্তীতে ঘটনা নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেননি নির্যাতিতা। তবে এই ঘটনা নিয়ে নেট মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় শুরু হলে পুলিশ স্বতঃপ্রবৃত্ত মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। ভিডিও দেখে তিনজন অভিযুক্তকে শনাক্ত করে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশ তাদের অভিযান জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং আশা করছে নারীদের প্রতি এমন অশালীন আচরণ হ্রাস পাবে। জানা গিয়েছে, গত শুক্রবারই তিনি বাংলাদেশে চলে যান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours