মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য় সরকার। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তে এখনই হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কী বলা হয়েছে?
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করার সিদ্ধান্তকে ‘একতরফা’ বলে দাবি করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এদিন এই মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চে। শীর্ষ আদালত জানায়, মামলার সব পক্ষকে নোটিস দিতে হবে। দু’সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে। তবে আংশিক সময়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। আপাতত হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল থাকবে। বিচারপতি সূর্য কান্তর পর্যবেক্ষণ, উপাচার্য নিয়োগে আচার্য না রাজ্য, কে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ, এখন আমরা সেই বিচার করছি না। আপাতত অস্থায়ী উপাচার্যেরা কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি, নিয়োগের ক্ষেত্রে আলোচনার মাধ্যমে রাজভবন এবং নবান্ন কোনও সমাধানসূত্র বের করতে পারে কিনা, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দিয়েছে বেঞ্চ।
একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের
যাদবপুরকাণ্ডের এই আবহের মধ্যেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, দীর্ঘদিন ধরেই উপাচার্য পদ খালি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ছে। তাই গণিত বিভাগের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউকে অস্থায়ী উপাচার্য পদে নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। এর আগেও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য তথা রাজ্যপাল। কিন্তু তারপরেই সংঘাত বাধে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের। অস্থায়ী উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করে নবান্ন। রাজ্যের যুক্তি ছিল, 7রাজভবন একক সিদ্ধান্তে উপাচার্য নিয়োগ করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের আইন মেনে এই নিয়োগ হয়নি। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট আচার্যের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখে। এরপরেই রাজ্য দ্বারস্থ হয়েছিল সুপ্রিম (Supreme Court) কোর্টের।
কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ
পাশাপাশি হাইকোর্ট রাজ্যকে অবিলম্বে উপাচার্যদের ভাতা চালু করতেও নির্দেশ দেয়। কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল,‘‘কোনওরকম প্যানেল না পাঠিয়ে শুধুমাত্র ২৭টি নাম পাঠিয়েছে রাজ্য। তাই রাজ্যপালের এক্তিয়ার রয়েছে নিজের মতো উপাচার্য নিয়োগের (Supreme Court)।’’ তবে এবার রাজ্য-রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সংঘাতে সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) কী পর্যবেক্ষণ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিভিন্ন মহল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours