মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় রবিবার বোমা নিক্ষেপ করল ইসরায়েল সেনা (Israel attacks Gaza)। শনিবার গাজা থেকে ইসরায়েলে একটি রকেট নিক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় এই হামলা চালায় ইসরায়েল।
সংবাদ সংস্থার তরফে জানা গিয়েছে, ইসরায়েল (Israel attacks Gaza) সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, রবিবার ভোরে হামাসের একটি অস্ত্র তৈরির কারখানা এবং ভূগর্ভস্থ একটি সুড়ঙ্গ লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিবিআইয়ের জালে বগটুইকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখ, কোথায় ধরা পড়ল জানেন?
শনিবার ইসরায়েলের (Israel attacks Gaza) মাটিতে এক মাসের মধ্যে প্রথম রকেট আক্রমণ হয়েছে। যদিও এখন অবধি কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা থেকে ছোড়া রকেটটি শনিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলের সীমানার কাছে একটি খোলা জায়গায় অবতরণ করেছে। তবে এতে কোনও হতাহত বা কোনও সম্পত্তি নষ্ট হয়নি।
ইসরায়েল সেনার হাতে ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু
এর আগে শুক্রবার ২৩ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি যুবক, আম্মার মুফলেহকে পয়েন্ট-ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জে গুলি করে হত্যা করেন একজন ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) সেনা। এ নিয়ে, গত সপ্তাহ থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
ফিলিস্তিনি বিদেশমন্ত্রক মুফলেহের গুলিকে 'মৃত্যুদণ্ডের' সমান বলে নিন্দা করেছে। ফিলিস্তিনিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আরবি ভাষায় হ্যাশট্যাগ "হুওয়ারা এক্সিকিউশন" ব্যবহার করে ইসরায়েলি সেনার (Israel attacks Gaza) অন্যায়ের জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছেন, "অধিকৃত পশ্চিম তীরে সহিংসতার ক্রমবর্ধমান মাত্রা নিয়ে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।"
বোরেল আরও বলেন, "গত সপতাহে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গতকালের ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ফিলিস্তিনি ব্যক্তি আম্মার মিফলেহের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ছিল তার সর্বশেষ উদাহরণ। এই বিষয়গুলির অবশ্যই তদন্ত হওয়া উচিৎ এবং ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে হবে।"
প্রসঙ্গত, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমের অধিকৃত অঞ্চলে ইসরায়েলি (Israel attacks Gaza) নিরাপত্তা বাহিনী হাতে চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত ২০৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। হামাস ২০২১ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে ১১ দিনের যুদ্ধ চালিয়েছিল। এতে ২৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিকের মৃত্যু হয়। ফলে উপত্যকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে যায়। মিশরের মধ্যস্থতায় উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতি নেয় সেই সময়।
+ There are no comments
Add yours