মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি (Ebrahim Raisi)। সোমবার এ খবর নিশ্চিত করেছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। রইসির মৃত্যুতে খালি ইরানের প্রেসিডেন্টের কুর্সি। কে বসবেন এই তখতে? কোন পদ্ধতিতে নির্বাচিত হন নয়া ইরানি প্রেসিডেন্ট?
কী বলছে ইরানি সংবিধান? (Ebrahim Raisi)
ইরানি সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের আচমকা মৃত্যু হলে সাময়িকভাবে ওই দায়িত্ব সামলাবেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। তিনি সরকারের তিন সদস্যের কাউন্সিলের একজন সদস্য হিসেবেই ওই দায়িত্ব সামলাবেন। সেই মতো আপাতত প্রেসিডেন্টের যাবতীয় কাজকর্ম সামলাচ্ছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মোখবর। সাংবিধানিক প্রক্রিয়া মেনেই তাঁকে সামলাতে হচ্ছে যাবতীয় কাজ। ভাইস প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ইরানের কাউন্সিলের আর দুই সদস্য হলেন ইরানি পার্লামেন্টের স্পিকার এবং বিচার বিভাগের প্রধান। সে দেশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের প্রয়াণের ৫০ দিনের মধ্যে এই কাউন্সিল নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করবে। সেখানেই স্থির হবে, প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসবেন কে।
কপ্টার দুর্ঘটনা
রবিবার রাতে পূর্ব আজহারবাইজানে একটি পাহাড়ে গোত্তা খেয়ে ভেঙে পড়ে রইসির (Ebrahim Raisi) কপ্টার। প্রেসিডেন্টের চপারে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিরাবদোল্লাহিয়ানও। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দু’জনেরই। সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় চপারের ধ্বংসাবশেষ। ইরানি প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুঃখ প্রকাশ করেছেন আরবীয় মালভূমির বিভিন্ন দেশের প্রধানরাও।
The first images have emerged showing the transfer of the martyrs' bodies by Red Crescent rescuers and army rangers to the downstream areas. pic.twitter.com/VE9Tg6nv6B
— Press TV 🔻 (@PressTV) May 20, 2024
২০২১ সালে ইরানের সর্বোচ্চ পদে আসীন হন রইসি। সেই সময়ই ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে বসেছিলেন মোখবরও। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন রইসি। বছর ঊনসত্তরের মোখবরই আপাতত সামলাচ্ছেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব।
আর পড়ুন: “এটা ভারতের সময়, এ সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত নয়”, বললেন প্রধানমন্ত্রী
‘ভারত বন্ধু’ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন রইসি। তাঁর আমলেই ভারত-ইরানের সম্পর্ক আরও মজবুত হয়েছে। কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশেই দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ইরানের সদ্য প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে। উল্লেখ্য যে. ইরানের বিদেশ নীতি কিংবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেন সে দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেই। প্রেসিডেন্টের কাজ সেই সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করা। রইসির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে প্যালেস্তাইনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হামাস। এই হামাসকেই নানাভাবে মদত দিয়ে গিয়েছিলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধেও তিনি (Ebrahim Raisi) পক্ষ নিয়েছিলেন পুতিনের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours