মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মাত্র দশ বছরের শাসনকাল। তার মধ্যেই দেশের অর্থনীতি পৌঁছেছে নতুন উচ্চতায়।” বৃহস্পতিবার বাজেট অধিবেশনে বক্তৃতা (Interim Budget 2024) দিতে গিয়ে কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, “এই সময়সীমার মধ্যে ২৫ কোটি মানুষ উঠে এসেছে দারিদ্রসীমার ওপরে। মানুষ আগের তুলনায় বেশি রোজগার করছেন। প্রকৃত আয় বেড়েছে ৫০ শতাংশ। যুবশক্তির ক্ষমতায়ন হয়েছে। মহিলাদের ক্ষমতায়নে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। আবাস যোজনায় মহিলাদের বাড়ির মালিকানা দেওয়া হয়েছে। আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পাবেন সব আশাকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা।”
লাখপতি দিদি
তিনি বলেন, “দেশে ৮৩ লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। মহিলাদের ক্ষমতায়ন হচ্ছে। ফলে এক কোটি মহিলা স্বনির্ভর হয়েছেন। লাখপতি দিদির সংখ্যা নিয়ে যাওয়া হবে দু’ কোটিতে।” বিশ্ব অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতেও যে ভারতীয় অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এখন দেশের সব স্তরের মানুষ, দেশের সব এলাকার মানুষ অর্থনৈতিক সাফল্যে শামিল হয়েছেন। এক বাজার এক কর ব্যবস্থায় এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি। আগের তুলনায় অনেক কমেছে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক। আগামী পাঁচ বছর আর্থিক বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত (Interim Budget 2024) হবে ভারত।”
গেম চেঞ্জার
ভারতের ঘোষিত ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট-ইউরোপ ইকনমিক করিডর যে ভারতের জন্য গেম চেঞ্জার হতে চলেছে, তাও মনে করিয়ে দেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “বিভিন্ন দেশ থেকে লগ্নি আসছে ভারতে। আমরা সাফল্যের সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করেছি। কোভিড-উত্তর যে অর্থনীতি, যাতে নতুন বিশ্ব তৈরি হচ্ছে, তাতে শামিল হয়েছে ভারত।” তিনি বলেন, “দেশের পরিকাঠামোয় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে। আগামী বছরের জন্য ১১.১ শতাংশ বৃদ্ধি হবে। জিডিপির ৩.৪ শতাংশ হবে পরিকাঠামো।”
আরও পড়ুুন: ‘‘৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন’’, বাজেটে আর কী কী বললেন নির্মলা?
বিকশিত ভারতের ভাবনা
নির্মলা বলেন, “৯ থেকে ১৪ বছর বয়সী মেয়েদের সার্ভাইকাল ক্যান্সারের টিকা দেওয়া হবে। বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আমরা বিদেশি বন্ধুদের নানা সুবিধা দিচ্ছি। আমরা বিকশিত ভারতের (Interim Budget 2024) কথা ভাবছি। পঁচাত্তর হাজার কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হবে, যাতে মাইলস্টোনগুলি টপকানো যায়।” সরকার যে খুচরো বিক্রেতাদের দিকেও সমান মনযোগী, তাও ধরা পড়েছে নির্মলার ভাষণে। ৪৩ কোটি ঋণে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পিএম মুদ্রা যোজনায়। উপকৃত হয়েছেন বহু মানুষ। কর্মসংস্থানের সুযোগ বেড়েছে। পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা, রূপান্তরকামীদের জন্য বিশেষ প্রকল্প ও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ১১.৮ কোটি কৃষককে সরাসরি অনুদান এবং পিএম কিষাণ যোজনায় বিমা। পিএম ফসল বিমা পেয়েছেন ৪ কোটি কৃষক। ১৩৬৯ মান্ডি তৈরি হয়েছে। ৩ লক্ষ কোটির আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours