মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনবার “তালাক” (Triple Talaq) শব্দ উচ্চারণের মধ্য দিয়ে স্ত্রীকে সঙ্গে সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ দেওয়ার প্রথায় দাঁড়ি টানতে তিন তালাক বিল এনেছে কেন্দ্র। কিন্তু তবু সমাজে বারবার ফিরে আসে এই প্রথা। খোরপোশ সংক্রান্ত দুটি মামলা চলছিল দিল্লির (Delhi) একটি আদালতে। কিন্তু শুনানি শেষে দিল্লির ওই আদালতের সামনেই ‘তালাক-তালাক-তালাক’ বলে স্ত্রী-দের উদ্দেশে চিৎকার করলেন দুই স্বামী। এমনই অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ।
তিন তালাক স্ত্রীদের
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তিন তালাক (Triple Talaq) এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিন তালাক বিল পাশ করাতে সফল হয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Modi Govt)। স্ত্রীকে তিন তালাক দিলে তিন বছর পর্যন্ত কারাবাস হতে পারে মুসলিম পুরুষদের। এবার আদালতের বাইরে তিন বার তালাক উচ্চারণ করে নিষিদ্ধ কাজ করেছেন দুই যুবক বলে অভিযোগ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রথম যে এফআইআর দায়ের হয়েছে, সেখানে অভিযোগ করেছেন এক মহিলা। তিনি রসায়নশাস্ত্রে পিএইচডি করেছেন। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদের মামলা চলছে তাঁর। এখন খোরপোশ সংক্রান্ত শুনানি চলছে। সেই মামলার শুনানি শেষে আদালত চত্বরে স্বামী তাঁকে তিন তালাক দেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: ‘ইন্ডি’ জোটে লেগেছে ঠোকাঠুকি! রাহুলকে বহরমপুর স্টেডিয়াম দিল না মমতার প্রশাসন
শাস্তিযোগ্য অপরাধ
দ্বিতীয় অভিযোগটি এক ২৪ বছরের যুবতীর। তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর বিয়ে হয় মুম্বইয়ে। কিন্তু স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর উপর অত্যাচার করতেন। তাই কিছু দিন পর দিল্লিতে তাঁর বাপের বাড়ি ফিরে আসতে বাধ্য হন। পরে আদালতে (Delhi Court) তিনি খোরপোশের দাবিতে মামলা করেন। পুলিশকে ওই মহিলা জানান, আদালতে শুনানির জন্য তখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি কোর্ট রুমে যাচ্ছিলেন, সেই সময় ‘তালাক-তালাক-তালাক’ (Triple Talaq) বলে চিৎকার করেন তাঁর স্বামী। ২০১৪-য় ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিন তালাক প্রথার অবসান চেয়ে সরব হয়েছিল মোদি সরকার। ২০১৭-য় তাৎক্ষণিক তিন তালাক প্রথাকে অসাংবিধানিক তকমা দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্টও। তার পরেই তিন তালাককে ফৌজদারি অপরাধের তকমা দিয়ে তিন বছরের জেলের নিদান দিয়েও বিল আনে সরকার।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours