মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশকে (Arunachal Pradesh) চিনের অন্তর্ভুক্ত বলে দাবি করে মানচিত্রের নয়া সংস্করণ প্রকাশ করেছিল বেজিং। তবে অরুণাচল প্রদেশ যে ভারতেই অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, আছে এবং থাকবে, নানা সময় চিনকে সে বার্তা দিয়েছে ভারত। এবার চিন সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছেই আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে ভারত।
তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’
দিন কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে ‘শস্ত্র পূজা’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। সেদিন তিনি তাওয়াং যুদ্ধের স্মৃতিসৌধও পরিদর্শন করেন। শ্রদ্ধা জানান চিন-ভারত যুদ্ধের শহিদদের। এই তাওয়াংয়েই রয়েছে লেজেন্ডারি ছুমি গিস্তে। এখানে রয়েছে ১০৮ পবিত্র জলপ্রপাতও। এটিকেই কাজে লাগাতে চাইছে অরুণাচল প্রদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী। তাদের ধারণা, জায়গাটির ভোল বদল করতে পারলে অভাব হবে না পর্যটকের। ফলে সমঝে দেওয়া যাবে চিনকেও।
পবিত্র প্রপাত
চিনের তরফে অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) দখলের চেষ্টার খামতি নেই। গত ডিসেম্বরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে নজরদারি কেন্দ্র গড়তে চেয়েছিল চিনের লালফৌজ। যদিও শেষমেশ আর তা দিনের আলো দেখেনি। এর পরেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অঞ্চলে যাতায়াত বাড়িয়ে দেয় ভারত। লালফৌজের কার্যকলাপ যাতে নজরে পড়ে তাই এই উদ্যোগ। সেই উদ্যোগেরই অংশ হিসেবে এবার পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাতের কাছে আধ্যাত্মিক পরিকাঠামো গড়ছে ভারত।
আরও পড়ুুন: খোদ এসএসকেএমে ভুল চিকিৎসার শিকার মুখ্যমন্ত্রী! সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে?
তিব্বতি উপাখ্যানে পবিত্র ১০৮ জলপ্রপাত খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে রয়েছে। এই জলপ্রপাতকে ঘিরে ছড়িয়ে রয়েছে নানা কাহিনি। তিব্বতিদের বিশ্বাস, এই প্রপাতের জলের নানা ক্ষমতা রয়েছে। নানা রোগের উপশমে ব্যবহার করা হয় এই জল। বছরের এক বিশেষ সময়ে এখানে আসেন বৌদ্ধ তীর্থযাত্রীরা। উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু মানুষও আসেন এই সময়। প্রার্থনা জানানোর পাশাপাশি তাঁরা সবাই সংগ্রহ করেন পবিত্র প্রপাতের জল। আধ্যাত্মিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন হলে, বছরভর এখানে ঢল নামবে পর্যটকের।
স্থানীয় বাসিন্দাদেরও বিশ্বাস, এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলে সারা বছরই আসতে থাকবেন পর্যটকরা। তাওয়াং শহর থেকে এখানে বেড়াতে এসেছিলেন সোনম সেরিং। তিনি বলেন, “জায়গাটার ভোল ক্রমেই বদলাচ্ছে। এখানে এখন মন্দির, গুম্ফা মায় লামাদেরও দেখতে পাচ্ছি। দীর্ঘদিন ধরে এই জায়গাটি দেখার ইচ্ছে ছিল। শেষমেশ তা পূরণ হওয়ায় আমি খুশি।” অসমের গুয়াহাটি থেকে এসেছিলেন (Arunachal Pradesh) পর্যটক রাজু তামাং। তিনি বলেন, “এই পবিত্র প্রপাতের বিষয়ে নানা কাহিনি শুনেছিলাম। চিন সীমান্তের কাছের এই পবিত্রভূমে আসতে পেরে আমি ধন্য। পবিত্র প্রপাতের জল সংগ্রহ করেছি আমিও।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours