India-Israel Defence: ভবিষ্যৎ সামরিক প্রযুক্তি নিয়ে যৌথ গবেষণা, উৎপাদন করবে ভারত-ইজরায়েল?

নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই বিশেষ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন দুই দেশের মন্ত্রী। একসঙ্গে কাজ করে উভয় দেশই নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ নিশ্চিত করবে।
FUOvLUzaMAAJ-em
FUOvLUzaMAAJ-em

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন চুক্তি করল ভারত ও ইজরায়েল। এই চুক্তির মূল লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের সামরিক প্রযুক্তি এবং অস্ত্র ও সিস্টেমের সহ-উৎপাদনের ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন করা এবং একইসঙ্গে সামরিক সহযোগিতা আরও গভীর করার দিকে মনোনিবেশ করা।

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত-ইজরায়েল সহযোগিতা (India Israel Defence cooperation) নিয়ে আলোচনা করলেন দু'দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুই দিনের সফরে ভারতে এসেছেন করেন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বেঞ্জামিন গ্যান্টজ। নয়াদিল্লি সফরে এসে প্রথমদিনই তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই দেশ একে অপরকে সহযোগিতা করতে বদ্ধপরিকর বলে ট্যুইট করেন রাজনাথ। তিনি জানান, ‘India-Israel Vision on Defence Cooperation’ নিয়ে চুক্তিবদ্ধ হয় দুই দেশ।

[tw]

[/tw]

বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইক (Balakote Air Strike) থেকে পূর্ব লাদাখে (Ladakh) চিনা বাহিনীর (PLA) উপর নজরদারি, শত্রুপক্ষকে ধরাশায়ী করার যুদ্ধাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তিতে বরাবরই ইজরায়েলি নির্ভরতা নজরে এসেছে। হেরন টিপি ড্রোন (Heron TP Drone) থেকে শুরু করে ফ্যালকন (Falcon)— শত্রুসেনার ওপর আক্রমণ শানানোর মতো সামরাস্ত্র ইজরায়েলের (Israel) থেকেই কিনেছে ভারত (India)। প্রতিরক্ষার কৌশল (Defence strategy) হোক বা সামরাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তির আদানপ্রদান (Defence technology), ইজরায়েলকে সবসময়েই পাশে পেয়েছে ভারত। এবার সামরিক ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক সহযোগিতাকেই অন্য মাত্রা দিতে চলেছে দুই দেশ।

চলতি বছর ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত হচ্ছে। এই তিন দশকে দুদেশের মধ্যে  দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিশেষ করে ক্ষেপণাস্ত্র, রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং অন্যান্য অস্ত্র ও সরঞ্জামের ক্ষেত্রে প্রযুক্তির আদানপ্রদান হয়েছে। ভারত ও ইজরায়েল যৌথভাবে মাঝারি-পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার-মিসাইল (MRSAM) বারাক 8 (Barak 8) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরি করেছে। গত সেপ্টেম্বরে, ভারতীয় বায়ুসেনা এই সিস্টেমকে অন্তর্ভুক্ত করেছে যা ৭০ কিলোমিটার পাল্লা পর্যন্ত শত্রুর যে কোনও যুদ্ধবিমান, ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টার এবং আনম্যানড্ এরিয়াল ভেহিকল (ইউএভি) যানের মতো বায়বীয় হুমকিকে ছিটকে দিতে সক্ষম।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর,  নিরাপত্তা সংক্রান্ত ওই বিশেষ ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন দুই দেশের মন্ত্রী। ভারত-ইজরায়েলের মধ্যে ৩০ বছরের নিরাপত্তা সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি সহযোগিতা সম্প্রসারণ নিয়েও আলোচনা হয় বৈঠকে। ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর করার জন্য পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে দু'পক্ষ। ভারত ও ইজরায়েল উভয় দেশই সীমান্ত নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। একসঙ্গে কাজ করার মাধ্যমে আমরা আমাদের সক্ষমতা বাড়াতে পারি এবং উভয় দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে পারি।”

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত ও ইজরায়েলের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রথম নয়। যৌথ উদ্যোগে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম তৈরির জন্য সাব-ওয়ার্কিং গ্রুপও তৈরি করেছে ভারত-ইজরায়েল। দুই দেশের প্রতিরক্ষা সচিব ও সমরাস্ত্র নির্মাতা সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা ওই গ্রুপে রয়েছেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিপাক্ষিক চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উৎপাদিত অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম অন্য দেশে বিক্রিও ওই গ্রুপের অন্যতম লক্ষ্য। আগামী দিনেও যুদ্ধাস্ত্র তৈরির প্রযুক্তি আদানপ্রদান করবে দুই দেশ।

ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এবং ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা সংস্থা ডিরেক্টরেট অব ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (DDR and D)-এর মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশই প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে তাদের আধুনিক প্রযুক্তির আদানপ্রদান করবে বলেও স্থির হয়েছে।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles