LCA Tejas: চিনা যুদ্ধবিমান ছেড়ে ভারতের ‘তেজস’ কিনতে চলেছে মালয়েশিয়া?

ভারতের দেশীয় যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে একাধিক দেশ...
fighter_jet
fighter_jet

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালয়েশিয়াকে (Malaysia) লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট (Light Combat Aircraft) বা এলসিএ (LCA) বিক্রির বরাতের দৌড়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে ভারত (India)। এ ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি (New Delhi) পিছনে ফেলে দিয়েছে চিন (China) ও দক্ষিণ কোরিয়াকে (South Korea)।

জানা গিয়েছে, মালয়েশিয়ার ব্যবহৃত রুশ সুখোই এসইউ ৩০ (Sukhoi Su-30) যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ এবং অতিরিক্ত জিনিসপত্রও অন্তর্ভুক্ত থাকবে ভারতের এই বরাতের মধ্যে। ভারত তার তেজস এলসিএ-র (Tejas LCA) জন্য একটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ অফার করছে মালয়েশিয়া সরকারকে। জানিয়ে দিয়েছে, প্রযুক্তিগত দক্ষতার কারণে এটি মালয়েশিয়ার এসইউ ৩০ জেট বিমানের সমতুল্য হতে পারে তেজস।

আরও পড়ুন : অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদনের প্রথম দিন কেমন সাড়া?

জানা গিয়েছে, এই বিশেষ চুক্তির জন্য অন্য দুই প্রতিযোগী দেশ চিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়ে বেশ কয়েক কদম এগিয়ে ভারত। কারণ তাদের সুখোই ফাইটারগুলিতে কাজ করতে রাশিয়ান নির্মাতাদের সঙ্গে কোনও চুক্তি নেই। বর্তমানে মালয়েশিয়ার ১৮টি এসইউ ৩০ এমকেএম ফাইটার রয়েছে। এগুলি মূলত এমকেআই সংস্করণের মতো। যা ইতিমধ্যেই ভারতীয় বায়ুসেনার পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্যাকেজ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে। দুই দেশের সরকারের আলোচনার শেষেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন : "অগ্নিপথ পছন্দ না হলে সেনায় আসবেন না", স্পষ্ট বার্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

ইউক্রেন যুদ্ধের (Ukraine war) আবহে রাশিয়ার (Russia) ওপর জারি হয়েছে পশ্চিমী নিষেধাজ্ঞা। তার জেরে প্রভাবিত হয়েছে মালয়েশিয়ার মতো বেশ কয়েকটি দেশ। এমতাবস্থায় মালয়েশিয়ার বিমান বাহিনী ১৮টি নতুন লাইট ফাইটার জেটের সন্ধান করছে। তাই ভারতীয় লাইট কমব্যাট এয়ারক্র্যাফ্ট তার স্বল্প অধিগ্রহণ খরচ এবং উচ্চ প্রযুক্তিগত রেটিং দিয়ে চিন ও কোরিয়াকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে।

সাউথব্লক একটি আধুনিক এইএসএ রাডার সহ তেজস এমকেওয়ানএ (Tejas Mark 1A) সংস্করণটির প্রস্তাবও দিয়েছে। এই প্রস্তাবটি নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা করতে মালয়েশিয়ার বিমানবাহিনীর বর্ষীয়ান কয়েকজন সদস্যের একটি দল ভারত সফর করে গিয়েছে। অর্ডার ধরতে ভারত মালয়েশিয়ায় এলসিএ বহরের সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত এবং পরিষেবার সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বলে খবর। প্রসঙ্গত, ভারতীয় এলসিএ-র দাম ইউনিট প্রতি ৪২ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে ভারত।

আরও পড়ুন : তারুণ্যে ভরপুর সেনা! অগ্নিপথ সঠিক দাবি কংগ্রেস নেতার

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles