Hafiz Saeed: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজকে চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি ভারতের  

হাফিজকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হোক, পাকিস্তানকে চিঠি বিদেশমন্ত্রকের...
hafiz_saeed
hafiz_saeed

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসের মূল চক্রী (Hafiz Saeed)। পাকিস্তানের আদালতে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন লস্কর-ই-তৈইবার প্রতিষ্ঠাতা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের শাস্তি থেকে বাঁচতে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে লড়তে নেমেছে তাঁর সমর্থিত দল ‘পাকিস্তান মারকাজি মুসলিম লিগ’। এহেন হাফিজ মহম্মদ সঈদকে চেয়ে ইসলামাবাদকে চিঠি দিল নয়াদিল্লি। যদিও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি না থাকায় হাফিজকে ভারত পাবে না বলেই ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। মুম্বই হামলার এত বছর পর এই প্রথম (Hafiz Saeed) হাফিজকে বিচারের জন্য ভারতে পাঠানোর দাবি জানিয়ে পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে।

হাফিজের মাথার দাম

হাফিজ রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসবাদী। আমেরিকা তাঁর মাথার দাম ঘোষণা করেছে এক কোটি টাকা। পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় তাঁকে রাখা হয়েছে বলে জল্পনা। হাফিজের ছেলে তলহাও বাবার মতোই সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকায় রয়েছেন তিনিও। এহেন মোস্ট ওয়ান্টেড হাফিজের দল লস্করের সামাজিক শাখা জামাত-উদ-দাওয়া সমর্থিত রাজনৈতিক দল পিএমএমএলের টিকিটে লাহোরের একটি আসন থেকে তলহা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে খবর।

সন্ত্রাসবাদের তকমা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা!

ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ তারিখে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির পাশাপাশি নির্বাচন হবে প্রাদেশিক আইনসভাগুলিরও। সেই নির্বাচনেই জিতে দলের গা থেকে সন্ত্রাসবাদী দলের তকমা ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও একবার সন্ত্রাসবাদীর তকমা ঝেড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন হাফিজ। সেটা ২০১৮ সাল। সেবারও পাকিস্তানের সাধারণ ও প্রভিন্সিয়াল অ্যাসেম্বলি মিলিয়ে মোট ২৬৫টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল হাফিজ সমর্থিত আল্লাহ-উ-আকবর তেহরিক নামে একটি দল।

আরও পড়ুুন: "ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ", পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের 'কাজের স্বীকৃতি'

সেবার অবশ্য খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে হাফিজের সমর্থন নিয়ে ভোটে দাঁড়ানো দলটিকে। এবার অবশ্য ছেলে তলহার জয় নিশ্চিত করতে চাইছেন হাফিজ। হ্যাঁ, গোপন ডেরায় বসেই। তবে সেটা কতটা মসৃণ হবে, তা বলবে সময়। কারণ চলতি মাসের গোড়ার দিকে হাফিজ ঘনিষ্ঠ লস্কর জঙ্গি হাঞ্চলা আদনানকে করাচিতে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা। তার পরেই আইএসআইয়ের গোপন ডেরায় থাকা হাফিজের (Hafiz Saeed) নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়েছে। কে জানে, কখন কী হয়!

পাপ যে বাপকেও ছাড়ে না!

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles