মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরই বিশ্বের সব থেকে জনবহুল (Most Populous) দেশ হতে চলেছে ভারত। গতকাল এমনই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘ। জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাড়িয়ে যাবে দেশ। ভারতের (India) জনসংখ্যার এই ব্যাপক বৃদ্ধির পূর্বাভাসে চিন্তিত বিশেষজ্ঞ মহল। অর্থনীতি বিপর্যস্ত হবে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু এর মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে কিছু ভালো দিক।
আরও পড়ুন: জনসংখ্যার নিরিখে চিনকেও ছাপিয়ে যাবে ভারত, বলছে রিপোর্ট
মনে করা হচ্ছে, ২০২৩ সালে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ হয়ে উঠলে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে স্থায়ী সদস্যপদ (UN Security Council Membership) পেতে পারে ভারত। ইউএন ডিপার্টমেন্ট অফ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স (DESA) এর জনসংখ্যা বিভাগের প্রধান জন উইলমোথ সোমবার বলেন, ভারত সব থেকে বেশি জনসংখ্যার দেশ হিসেবে প্রমাণিত হলে, অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছু বাড়তি সুবিধা পাবে।
তিনি জানান, ভারত সবচেয়ে জনবহুল দেশের খেতাব পেলে, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য পদ পাওয়ার তাদের দাবি আরও জোরদার হবে।
জাতিসংঘের ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য পাঁচটি দেশ চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র। বাকি ১০টি দেশ অস্থায়ী সদস্য। ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে দু বছরের জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়। এর আগে ১৯৫০-৫১, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭২-৭৩, ১৯৭৭-৭৮, ১৯৮৪-৮৫, ১৯৯১-৯২ এবং সাম্প্রতিক অতীতে ২০১১-১২ ও ২০২১-২২ সালে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল ভারত। কিছুদিন আগেই চলে যায় সেই অস্থায়ী সদস্য পদ।
জাতিসংঘের একটি রিপোর্ট বলছে, এ বছরের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটি ছাড়াবে। ১৯৫০-এর পর থেকে গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার কিছুটা কমে গিয়েছিল। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নীচে নেমে যায়। কিন্তু নতুন এই রিপোর্ট বলছে, ২০৩০-এর মধ্যে জনসংখ্যা ছাড়াবে ৮৫০ কোটি। ২০৫০-এ তা গিয়ে হবে ৯৭০ কোটি।
জনসংখ্যার নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এখনও চিনের জনসংখ্যার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। বিশ্বের পুরো জনসংখ্যার ২৬ শতাংশের বসবাস এ অঞ্চলেই। তার মধ্যে চিন এবং ভারতে ১৪০ কোটির বেশি জনসংখ্যা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এশিয়া ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। ভারত ছাড়াও সে তালিকায় রয়েছে, কঙ্গো, মিশর, পাকিস্তান, নাইজিরিয়া, ইথিয়োপিয়া এবং তানজানিয়া।
+ There are no comments
Add yours