Israel Hamas War: উল্লেখ নেই হামাসের, রাষ্ট্রসংঘে ভোটদানে বিরত ভারত, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব খারিজ ইজরায়েলেরও

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভারতের পাশাপাশি ভোট দেয়নি ইংল্যান্ড, ইউক্রেন, কানাডা এবং জাপানের মতো ৪৫টি দেশও...
united-nations-afp
united-nations-afp

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে গাজা সংক্রান্ত (Israel Hamas War) প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত রইল ভারত। এই প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ ছিল না। কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, সেই কারণেই ভোটদানে বিরত রইল নয়াদিল্লি। তবে রাষ্ট্রসংঘের ১৯৩টি দেশের মধ্যে ১২০টি দেশের প্রতিনিধিরা ভোট দেওয়ায় সাধারণ সভায় পাশ হয়ে গিয়েছে প্রস্তাবটি। ঘটনাটিকে ‘মানবতার কালো অধ্যায়’ বলে অভিহিত করেছে ইজরায়েল।

ইজরায়েলে হামলা হামাসের

২৪ দিন আগে ইহুদিদের দেশ ইজরায়েলে হামালা চালায় মুসলমানদের দেশ প্যালেস্তাইনের গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। হামাসের নৃশংস আক্রমণে অকালে প্রাণ হারিয়েছেন ইজরায়েলের বহু মানুষ। তার পরেই প্রতিরোধ গড়ে তোলে ইজরায়েল। গাজা স্ট্রিপের জঙ্গি ঘাঁটিগুলিতে আঘাত হানে তেল আভিভ। জঙ্গিদের উচিত শিক্ষা দিতে গাজা স্ট্রিপ সীমান্তে অবরোধ করে ইজরায়েল। তার জেরে ওষুধ থেকে শুরু করে অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সেখানে পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় প্রস্তাবটি আনে জর্ডন। প্রস্তাবে হামাসের উল্লেখ না থাকায় ভারত ভোটদানের বিরত ছিল বলে ধারণা আন্তর্জাতিক মহলের একাংশের। কেবল ভারত নয়, এই প্রস্তাবে ভোট দেয়নি ইংল্যান্ড, ইউক্রেন, কানাডা এবং জাপানের মতো ৪৫টি দেশও।

কানাডার প্রস্তাব

প্রস্তাব পেশের সময় কানাডা জানায়, প্রস্তাবের একটি অংশে হামাসের হামলার নিন্দা করা হোক। এর পক্ষে মত দেয় ভারত সহ ৮৭টি দেশ। রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, দুই তৃতীয়াংশ সদস্য পক্ষে না থাকলে সংশোধনী প্রস্তাব গৃহীত হয় না। এ ক্ষেত্রে সংশোধনী ছাড়াই পেশ হয় প্রস্তাবটি। এদিকে, রাষ্ট্রসংঘের যুদ্ধ বিরতির (Israel Hamas War) প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল ইজরায়েল। তাদের দাবি, ইজরায়েল হামাসকে বিশ্ব থেকে মুছে ফেলতে চায়, যেমনভাবে নাৎসী এবং আইসিসকে খতম করা হয়েছিল।

শুক্রবার ইউএনএর তরফে যুদ্ধ বিরতির পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক্স হ্যান্ডেল থেকে রাষ্ট্রসংঘের এই সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। রাষ্ট্রসংঘে ইজরায়েলের পক্ষ থেকে স্থায়ী সদস্য জানান, এই সভায় সত্যের কোনও গুরুত্ব নেই। আজকের অধিকাংশ সম্প্রদায়ই দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা আইন মেনে চলা ইজরায়েলকে নয়, বরং নাৎসী বাহিনীর সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থন করছে। যারা সত্যিকারের হিংসা রুখতে আগ্রহী তারা যেন এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন না জানায়। তিনি জানান, ইজরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য হামাসকে (Israel Hamas War) নির্মূল করা হবে।

আরও পড়ুুন: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles