মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। এর ফলে চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। কারণ, ধান কাটা শুরু হলেও সেই ধান মাঠেই পড়ে আছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে শুধুই পাকা ধান। এদিকে বৃষ্টির জেরে সেই ধান নষ্টও হচ্ছে (Agriculture)। ফলে আবহাওয়ার এই আচমকা পরিবর্তন চাষিদের ক্ষেত্রে চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে তাঁরা বেরতে পারবেন, তা কারোরই জানা নেই। সরকারের দিক থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখানো হয়নি।
জেলায় জেলায় হাহাকার (Agriculture)
পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর চাষি নিখিল ঘোষ বলেন, আমার আড়াই বিঘে জমি আছে। ধান কাটা অবস্থায় জমিতেই পড়ে আছে। বৃষ্টির কারণে ধান তুলতে পারছি না। দিনের পর দিন সারের দাম, শ্রমিকদের মজুরি ইত্যাদির খরচ বাড়ছে। ট্রাক্টরের খরচও বেশি। কিন্তু ধানের দাম পাচ্ছি না। এই অবস্থায় যদি ধান ঘরে তুলতেই না পারি, তাহলে তো পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলাতেও একই পরিস্থিতি। আমন ধান একদিকে যেমন কাটা শুরু হয়েছিল, পাশাপাশি তা ঘরে তোলারও কাজ চলছিল। আচমকা টানা বৃষ্টি সব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। মাঠের পর মাঠ জলের তলায় (Agriculture)। ধান এবং অন্যান্য সবজি ডুবে গিয়েছে। ফলে কাল বা পরশু রোদ উঠলেও বিঘের পর বিঘে জমির ফসল যে আর কিছু আস্ত থাকবে না, তা চাষিরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন। তাই আমন ধানের সঙ্গে আলু চাষেও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। কারণ, এখন জমিতে আলু বসানোর কাজ চলছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেই কাজ থমকে গেল। তাছাড়া যেখানে আলু বসানো হয়ে গেছে, তাদের অবস্থাও হবে পাকা ধানের মতোই।
ক্ষতি সবজি চাষেও (Agriculture)
তবে দুশ্চিন্তা শুধু যে ধান নিয়ে, এমনও নয়। শীতের মরশুমে নানা সবজির চাষও (Agriculture) হয় জোর কদমে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, মটরশুঁটি, বিনস ইত্যাদির এখন বাজারও চাঙ্গা। কিন্তু এরকম একটা সময়ে অকাল বৃষ্টিতে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারণ, অনেকেই চাষ করার জন্য মোটা টাকা ঋণ নিয়ে বসে আছেন। আশা, ফসল বিক্রি করে তা শোধ করবেন। কিন্তু ফসল যদি নষ্টই হয়ে যায়, তাহলে কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কোনও পথ খোলা থতাদের।এটা ভেবেই তাঁদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours