মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে কখনও প্রচণ্ড গরম, আবার কখনও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি। বর্ষা এক সপ্তাহ আগে ঢুকে গেলেও এখনও পর্যাপ্ত বৃষ্টি নেই। গাছেই সবজি শুকিয়ে যেতে শুরু করেছে। এর ফলে দাম বাড়ছে সবজির (Vegetables)। ছ্যাঁকা লাগছে মধ্যবিত্তের পকেটে। গত এক সপ্তাহে টমেটো, ঝিঙে, ঢেঁড়স বেগুন সহ বিভিন্ন সবজির দাম হু হু করে বেড়ে গেছে।
কী পরিস্থিতি হাওড়ার পাইকারি বাজারের (Vegetables)?
হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন পাইকারি সবজি বাজারে গিয়ে দেখা গেল, দাম আকাশছোঁয়া। খুচরো বাজারে তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। হাওড়া সবজি বাজারের (Vegetables) পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরমের কারণে সবজি গাছ মাঠেই নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন কম হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে অনেকটাই। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া এই পাইকারি সবজি বাজারে বিভিন্ন জেলা থেকে কয়েকশো ব্যবসায়ী কাঁচা আনাজ সহ বিভিন্ন সবজি নিয়ে আসেন। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, বর্ধমান, উত্তর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে সবজি ব্যবসায়ীরা হরেক রকম সবজি এই পাইকারি বাজারে বিক্রি করেন। এখান থেকে সবজি সরাসরি চলে যায় কলকাতা, হাওড়া ও হুগলির বড় বড় বাজারে। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড গরমে অনাবৃষ্টির কারণে সবজি গাছ মাঠেই শুকিয়ে গেছে। এর ফলে ঝিঙে, ঢেঁড়স, শসা, বেগুন, লাউ, করোলা, বরবটি, কাঁচালঙ্কা, ধনেপাতা, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ বিভিন্ন সবজির দাম বেড়ে গেছে। তাঁরা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহে সবজির দাম কিলো প্রতি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। হাওড়া ভেজিটেবল মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিনয় শোনকার জানিয়েছেন, এ বছরে বর্ষা পিছিয়ে গেছে। এখনও পর্যন্ত সেভাবে বৃষ্টির দেখা নেই। তাই মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজির সরবরাহ না থাকায় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে বৃষ্টি শুরু হলে সবজির দাম কমবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। বাজারের খুচরো বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পাইকারি বাজারে যে দামে কেনা তার থেকে গড়ে ১০ থেকে ৩০ টাকা বেশি দরে তাঁরা খুচরো বাজারে বিক্রি করবেন। এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের। বাজারে বিক্রিবাটা কমেছে। তাই আপাতত সবজি ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে আছেন আকাশের দিকে। কখন মুষলধারে নামবে বর্ষার বৃষ্টি।
সবজি (Vegetables) বিক্রেতারা কী জানাচ্ছেন?
এক সবজি বিক্রেতা মন্টু সাউ হাওড়া সবজি বাজারে এসেছিলেন সবজি (Vegetables) কিনতে। তিনি বলেন, যেখানে এক সপ্তাহ আগেও কুঁদরি ছিল ৫০ টাকা পাল্লা, লোকে খেত না৷ এখন সেই কুঁদরি ১৫০ টাকা পাল্লা। ২০ টাকা কিলো এক সপ্তাহ আগে ছিল। সেটা ৬০ টাকা কিলতে বিক্রি করতে হচ্ছে। ঢেঁড়স যেখানে এক সপ্তাহ আগে ১৫০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৩৫০ টাকা পাল্লা। তার উপর বৃষ্টি না হওয়ার কারনে ঢেঁড়শ শুকিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে করলা আগে যেখানে ২০০ টাকা পাল্লা ছিল এখন ৪০০ টাকা পাল্লা। বিনয় সাউ নামে আর এক সবজি বিক্রেতা বলেন, বর্ষায় এই সময় যে পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল তা হয়নি। তাই সবজি গাছেই শুকিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে দাম বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিটা ঠিকঠাক হলে আবার দাম কমবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours