মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবার সামনে আমাকে উলঙ্গ করল, শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজ-শঙ্কর সামনে রেখে চলত অত্যাচার।’ ঠিক এই ভাবে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছেন। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দার। প্রতিবাদী মহিলাদের আন্দোলনে ফের একবার উত্তাল গোটা এলাকা।
উলঙ্গ করার অভিযোগ (Sandeshkhali)
সোমাবার সকাল থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বেড়মজুর এলাকায় ফের মহিলারা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নামেন। নির্যাতিতা, নিগৃহীত মহিলাদের ক্ষোভ ছিল শঙ্কর সর্দারের বিরুদ্ধে। যে কোনও সমস্যা মেটাতে গেলে যেতে হতো শাহজাহানের ভাই সিরাজের কাছে। তারপর চলত সেখানে যৌননিগ্রহ। গ্রামের এক নির্যাতিতার বক্তব্য, “গত বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা, আমাদের পরিবারে সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিরাজের কাছে। সঙ্গে ছিল অজিত মাইতি। কোষাধ্যক্ষ এবং আরও অনেক মহিলা ছিল। অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা। সেই সময় আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাউকে জানাতে পারিনি। আমার পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি। আমার কোলে বাচ্চা ছিল দিদির কাছে। সেই বাচ্চাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নাম করে আমার শ্লীতাহানি করে শঙ্কর-সিরাজেরা।”
শঙ্করের বাড়িতে জনরোষ
শঙ্করের গ্রেফতারে পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। নির্যাতিত মহিলাদের ক্ষোভের উত্তাপ গিয়ে পড়ে শঙ্করের পরিবারের উপর। বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। খড়ের গাদায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শঙ্করের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার নিগৃহীতদের বক্তব্য, “আমাদের উপর যখন আক্রমণ হয় সেই সময় ওঁরা বুঝতে পারেনি অত্যাচার কাকে বলে। এবার বুঝুক।”
অপর দিকে গতকাল বজবজে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শাজাহানকে গ্রেফতারে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। অপরে আজ সোমবার হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট হয় করে গ্রেফতারে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। এরপর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours