মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ২২ শে জানুয়ারি অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দিরের উদ্বোধন হল। এই উপলক্ষে বহরমপুরের গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে শ্রীরাম পুজোর আয়োজন করা হয় মহা সাড়ম্বরে। সোমবার সকালে এই পুজোকে কেন্দ্র করে হাজির হন সনাতনী সমাজের প্রত্যেক সদস্য, বহু ভক্ত এবং শহরের বহু সাধারণ মানুষ। সেখান থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে শহরের বিভিন্ন এলাকা পরিক্রমা করে গঙ্গার জল আনতে যাওয়া হয় বহরমপুরের গোরাবাজার ঘাটে। আজকের দিনে বহরমপুরে (Murshidabad) গোরাবাজার সনাতনী সমাজের উদ্যোগে এই শ্রীরাম পুজোর আয়োজনে নেতৃত্ব দেন বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র কাঞ্চন।
শ্রীরাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তিতে পুজো (Murshidabad)
অযোধ্যায় আজ মন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তির প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে মন্দিরের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গোটা ভারতবর্ষের সনাতনীরা এই দিনটির জন্যই অপেক্ষায় ছিল। আজ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অযোধ্যার সঙ্গে বাংলাও শ্রীরামচন্দ্রের মূর্তি নির্মাণ করে পুজোতে মেতেছে। বহরমপুর (Murshidabad) সায়দাবাদে রাম, লক্ষ্মণ, সীতা ও হনুমানের মূর্তি তৈরি করে পুজো-অর্চনার আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে চলেছে আগত ভক্তদের মধ্যে লাড্ডু ও ভোগের প্রসাদ বিতরণ। পাশাপাশি চলে ভজন-কীর্তন। একই সঙ্গে আয়োজকদের উদ্যোগে ২০০ জন গরিব মানুষকে প্রদান করা হয় শীতবস্ত্র।
কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?
বহরমপুরের (Murshidabad) বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “রামায়ণে প্রভু রামের ১৪ বছর বনবাস হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সনাতনীদের কাছে ৫০০ বছর ধরে অজ্ঞতাবাসে রাখা হয়েছে রামলালাকে। আজ অযোধ্যায় যুগাবতার রামচন্দ্রের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এই মন্দিরের জন্য অনেক রাম ভক্তদের রক্ত ঝরেছে। দেশে অনেক সরকার এসেছে, কিন্তু কেউ প্রভু রামের মন্দির নির্মাণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করেনি। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের একান্ত চেষ্টায় মন্দির নির্মাণ-উদ্বোধন হয়। আজ আমরা সকল হিন্দু সংগঠন হিসাবে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, সনাতনী সমাজের পক্ষ থেকে প্রভু রামের পুজো করছি। আজকের দিন আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের এবং গৌরবের।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours