মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বিরিয়ানি খেতে চান কোন্নগরের শিশু খুনে ধৃত শান্তা ও তার বান্ধবী। আর যদি তা না পান তাহলে তদন্তে সহযোগিতা করবে না বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য ধৃত শান্তা শর্মাকে রাখা হয়েছে উত্তরপাড়া থানায়। অপরে বান্ধবী ইফফাত পারভিন বন্দি রয়েছে শ্রীরামপুর (Hooghly) মহিলা থানায়। উল্লেখ্য জেরা করার সময় পারভিনকে উত্তরপাড়া থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। জেলে বসে এই খাবারের আবদারে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।
পুলিশ সূত্রে বক্তব্য (Hooghly)
আট বছরের সন্তানকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে মা এবং বান্ধবী। উল্লেখ্য যদিও কেউ এখনও পর্যন্ত খুনের বিষয় নিয়ে নিজের মুখে কিছুই স্বীকার করেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, “দুজনেই জেলের (Hooghly) খাবার খাইতে চাইছে না। সন্তান খুনের গ্রেফতার হওয়া শান্তা চেয়েছে বিরিয়ানি খেতে। তার বান্ধবী ইফফাত আবার চায় চাইনিজ খাবার খেতে। যদিও কাউকেই তাদের পছন্দের খাবার দেওয়া হয়নি। খাবারের জন্য কেউ তদন্তে সহযোগিতা করছে না।” এই আজব দাবিতে অবাক সকলে। শিশুখুনে অভিযুক্ত শান্তা এবং পরভিন ৯ দিন ধরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে বেশ কিছু সূত্র পেয়েছে। কিছু তথ্যপ্রমাণও পেয়েছে। ধৃতদের নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কিন্তু দুজনে তদন্তে অসহযোগিতা করছে বলে বিষয় উঠে এসেছে।
তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই কোন্নগর (Hooghly) হত্যাকাণ্ডের এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, “ধৃত দুই অভিযুক্ত মুখরোচক খাবার খেতে চাইছে। কেউ বিরিয়ানি আবার কেউ চাইনিজ খাবার। জেলের ডাল-ভাত বা রুটি কোনও পদই তাদের মুখে রোচে না। পছন্দের খাবার না পেয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছ দুই প্রধান অভিযুক্ত।”
গত ১২ ফেব্রুয়ারি স্কুলছাত্র শ্রেয়াংশু শর্মার খুনের চারদিন পর তার মা এবং বান্ধবীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে দাম্পত্য কলহ এবং শান্তা-পারভিনের সমকামী সম্পর্কের কারণ খুন হতে হয়েছে শিশুকে। তবে এখনও জেরায় কেউ হত্যার কথা শিকার করেনি। তার মধ্যেই অভিযুক্তদের আজব দাবি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours