মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তাঁর জেলজীবন থেকে মুক্তির আশায় তৃণমূলের যুব সংগঠন সাঁইথিয়ায় হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করেছে। আর এর ফলে জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কেষ্টর জামিনের জন্য কি এখন রাম নামেই ভরসা? গত ২২ শে জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই দেশ জুড়ে রাম নামের প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মন্দিরে রোজ উপচে পড়ছে ভিড়। এর মাঝেই তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের দলের দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জেলবন্দি নেতার মুক্তির জন্য রামনামের শরণ নিয়েছেন।
দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার কেষ্ট (Birbhum)
গরু পাচারকাণ্ডে অনেক দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। কয়লা পাচার কাণ্ডেও অভিযুক্ত তিনি। নিজের নামে অথবা অনামে-বেনামে প্রচুর চালকল সম্পর্কে তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অপর দিকে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির তালিকায় অনুব্রতর মেয়ের নাম উঠেছে। স্কুলে না গিয়ে বেতন নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাবার সঙ্গে এখন মেয়েও জেলে বন্দি। বীরভূমের (Birbhum) এই প্রতাপশালী এবং প্রভাবশালী নেতা বার বার কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জামিন মঞ্জুর হয়নি। অভিযোগ গুরুতর বুঝেই হয়তো আইনের কৌশলের পাশপাশি রামনামের শরণ নিতে হয়েছে বীরভূমের জেলা তৃণমূলকে।
বিজেপির বক্তব্য
বীরভূমের (Birbhum) জেলা সহ-সভাপতি দীপক দাস বলেছেন, “তৃণমূল শেষ পর্যন্ত রাম নাম করছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাবে না।” আবার তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় এই সবে পাত্তা দিতে নারাজ। তৃণমূলের রামনামে ভুল কিছু নেই বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।
তৃণমূলের বক্তব্য
জেলা (Birbhum) কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় আরও বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে অনেক মানুষ ভালোবাসেন। সকলেই চাইছেন তিনি যেন জেল থেকে মুক্তি পান। আর এই জন্যই কেউ রাম নাম আবার কেউ হরিনাম করছেন।” রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, জেলার সভাপতি পদে এখনও বহাল রয়েছেন কেষ্ট। তাঁর অনুগামীরা বাড়তি অক্সিজেন দিতে এই সমস্ত করছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours