Bardhaman: পাত্রী উধাও, বন্ধ ফোন! ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায়

বিয়ে করতে গিয়ে প্রতারিত বর!
Bardhaman
Bardhaman

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাত্রী উধাও, বিয়ে করতে গিয়ে বর বিপাকে। রবিবার শীতের রাতে বিয়ে করতে যাওয়ার কথা ছিল বরের। পাত্রীপক্ষকে ফোন করলে জানা গেল, ফোন বন্ধ! বর বুঝলেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পূর্ব বর্ধমানের (Bardhaman) কাটোয়ার ফেরিঘাটে দাঁড়িয়েছিলেন বর। অবশেষে ছাদনাতলার বদলে পাত্র সোজা থানায় গেলেন। সেই সঙ্গে বর বললেন, “এমন ভাবে প্রতারিত হব, স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। কেন এমন ঘটল বুঝতে পারছি না। পুলিশকে জানিয়েছি। তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।”

কীভাবে ঘটল ঘটনা (Bardhaman)?

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাত্র অর্থাৎ বর নদিয়ার কালীগঞ্জের বালিয়াদাঙা-ফরিদপুরের বসিন্দা। পাত্রের নাম নয়ন ঘোষ। যে পাত্রীর সঙ্গে বিবাহ হবে সেই পাত্রী জানিয়েছেন বিয়ে হবে কাটোয়ার (Bardhaman) এক আত্মীয়ের বাড়িতে। আর সেই মতোই পাত্র নয়ন ঘোষ পরিবারের আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব সহ ১৫ জনকে নিয়ে কাটোয়ার গোয়ালপাড়ার ঘাটে নামেন। তারপর থেকেই কন্যার এবং বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়।

বরের অভিযোগ কী

নদিয়ার বাসিন্দা বর নয়ন ঘোষ কাটোয়াতে (Bardhaman) বিয়ে করতে গিয়ে প্রতারিত হয়ে বলেন, “বিয়ে করতে যাওয়ার পথে যেখানেই পৌঁছেছি সেখানেই কন্যার বাড়ির লোকজনকে ফোন করি। যতবার ফোন করি ঠিক ততবারই বলা হয় লোক পাঠাচ্ছি। এই ভাবে তিন ঘণ্টা কেটে গেলেও কেউ নিতে আসেনি। অবশেষে ধৈর্য হারিয়ে কন্যাকে ফোন করলে দেখা যায় ফোন বন্ধ। এরপর থানায় গিয়ে অভিযোগ করি।”

কীভাবে বিবাহ ঠিক হয়েছিল?

স্থানীয় (Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে রাজস্থানের জয়পুরের সোনার গহনা তৈরির কাজ করতেন নয়ন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে মুর্শিদাবাদের এক সহকর্মী সোমনাথ ঘোষের মাধ্যমে বর্ধমানের দত্ত পাড়ার এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁদের আলাপ এবং তারপরে প্রেমও হয়। মাঝে মাঝে তাঁদের দেখা হতো। তরুণীর কথা মতো রবিবার বিয়ে ঠিক করা হয় তাদেরই এক আত্মীয়ের বাড়িতে। এরপরই ঘটে বিপত্তি।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles