Imran Khan: ফের ভারত-স্তুতি ইমরানের! জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে শাহবাজ সরকারকে তোপ ‘কাপ্তান’-এর

একধাক্কায় পাকিস্তানে পেট্রলের দাম বাড়ল লিটার প্রতি ৩০ টাকা। এই মুহূর্তে পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রল বিকোচ্ছে ১৭৯.৮৬ টাকায়।
imran
imran

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) এক ধাক্কায় প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ৩০ টাকা বেড়ে যাওয়ায় দেশের বর্তমান প্রশাসককে একহাত নিলেন ইমরান খান (Imran Khan)। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পাকিস্তানে পেট্রোলের নয়া দাম কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে শেহবাজ শরিফের সরকারের সমালোচনা করেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। এপ্রসঙ্গে ফের একবার ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন 'কাপ্তান'। কেন্দ্রের পেট্রল-ডিজেলের দাম কমানোর উদ্যোগের তারিফ করেন তিনি। 

ইমরানের দাবি, আমেরিকার চাপের মুখে ভারত সরকার নতিস্বীকার না করে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। এ পদক্ষেপ সে দেশের স্বার্থে প্রয়োজনীয়। তাঁর কথায় কোয়াডের অন্তর্ভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে কম দামে তেল কিনছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে মাথা নোয়ানি তারা। এতে ভারতের সাধারণ মানুষের অনেক সুবিধা হবে। তিনি আরও বলেন, "আমার সরকারও একই ধরনের কাজ করছিল। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করবে এমন বিদেশ নীতি অত্যন্ত জরুরি।" 

[tw]

[/tw]

বর্তমানে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ বলে দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। এই পরিস্থিতিতে শাহবাজ শরিফের সরকারকে কটাক্ষ করে ইমরানের সংযোজন, "আমার সরকার পাকিস্তানের জনসাধারণের স্বার্থকে গুরুত্ব দিত। আর বর্তমান সরকার বিদেশি শক্তির সামনে মাথা নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"

এই মুহূর্তে পাকিস্তানে লিটার প্রতি পেট্রল বিকোচ্ছে ১৭৯.৮৬ টাকায়। ওই দেশে কেরোসিনের দাম (প্রতি লিটারে) ১৫৫.৫৬ টাকা। লাইট স্পিড ডিজেলের দাম (প্রতি লিটারে) ১৪৮.৩১ টাকা।

[tw]

[/tw]

পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছেন যে সেদেশের সরকার পেট্রোলিয়াম পণ্যের দাম প্রতি লিটার ৩০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF)-এর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় পাকিস্তান। এর পরেই এই বিশাল মূল্যবৃদ্ধি ফের পাক অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

পাকিস্তানের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার প্রচেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে। গত সপ্তাহে কাতারের রাজধানীতে শুরু হওয়া পাকিস্তান ও আইএমএফ আলোচনার প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ভর্তুকি। বর্তমান সরকার ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্যাকেজের মধ্যে বাকি ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেতে আগ্রহী বলে খবর। যদিও মুদ্রাস্ফীতি সংশোধিত না হওয়ায় চুক্তিতে এগোয়নি আইএমএফ।

এমনকী আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর আন্তর্জাতিক বাজারে মার্কিন ডলারের নিরিখে পাকিস্তানের টাকার দাম বৃহস্পতিবার কমেছে অনেকটাই। প্রায় ঐতিহাসিক রেকর্ডও বলা চলে।  

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles