মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যে দলকে বিশ্ব চিনত তাদের ফিল্ডিংয়ের জন্য, ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি বিপক্ষের মনে ভয় ধরাত যে দলের ফিল্ডিং, আজ সেই অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিংয়ের এ কী হাল! স্রেফ একটি ম্যাচেই বিপক্ষের ছ-ছটি ক্যাচ ফস্কালেন অজি ক্রিকেটাররা। যার ফল দিতে হল ম্যাচ হেরে। প্রথমে ভারত, পরে দক্ষিণ আফ্রিকা— বিশ্বকাপে প্রথম ২টি ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হল প্যাট কামিন্সদের। যা অতীতে কখনও হয়েছে বলে কেউ মনে করতে পারছেন না।
ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং
বৃহস্পতিবার, ব্যাটিং সহায়ক লখনউয়ের পিচেও ব্যাটিং ধরাশায়ী হয় অস্ট্রেলিয়ার। জেতার জন্য কামিন্সদের সামনে ৩১২ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের কাছে তা সমস্যার নয়। কিন্তু, এই রান তাড়া করতে গিয়েই হোঁচট খেল ওয়ার্নার, স্মিথ, লাবুশেন, ম্যাক্সওয়েল সমৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। ১৭৭ রানেই শেষ হয়ে যায় অজিদের ইনিংস। প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের ঘুর্ণি পিচে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ১৯৯ রান। কিন্তু, লখনউয়ের পিচ একেবারে সোজা। সেখানেও ব্যর্থ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা।
জঘন্য অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং
এ তো গেল ব্যাটিং-ব্যর্থতার আখ্যান। এর আগে, দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের সময় জঘন্য ফিল্ডিংয়ের উদাহরণ পেশ করল টিম কামিন্স। এক বা দুটো নয়, একেবারে ৬টা ক্যাচ ফস্কালেন অজি ফিল্ডাররা। বাভুমার ক্যাচ তিন বার এবং মার্করাম, জানসেন ও মিলারের ক্যাচ এক বার করে পড়ে। একটা সময় দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না, এটাই কি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন টিম? ফিল্ডিং ও ব্যাটিং যদি অজস্র প্রশ্ন তুলে দিয়ে থাকে, তাহলে পিছিয়ে নেই দলের বোলিংও। অন্তত দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ তাই প্রমাণ করে।
নির্বিষ অস্ট্রেলিয়ার বোলিং
ভারতের বিরুদ্ধে অজি বোলারদের মধ্যে লড়াইয়ের একটা চেষ্টা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। ১৯৯ স্কোরে থমকে যাওয়া সত্ত্বেও শুরুতেই ভারতের তিন উইকেট তুলে লড়াই করার একটা জায়গা তৈরি করে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। যদিও, বিরাট-রাহুল যুগলবন্দি তাদের সব আশায় জল ঢেলে দিয়েছিল। কিন্তু, বৃহস্পতিবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে স্টার্ক, কামিন্স, হেজেলউড, জাম্পা সমৃদ্ধ বিপক্ষের মনে ভয় ধরানো অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত বোলিং লাইনআপকে একেবারে ক্লাবস্তরে নামিয়ে আনেন বাভুমা-ডি’কক-মার্করামরা। বিশ্বকাপে, অস্ট্রেলিয়ার এরকম নির্বিষ বোলিং শেষ কবে দেখা গিয়েছিল, সেই প্রশ্ন সকলের মনে ঘুরপাক খেতে থাকে।
প্রবল চাপে অস্ট্রেলিয়া
প্রথম ২টি ম্যাচ হেরে টিম কামিন্স যে প্রবল চাপে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে, অস্ট্রেলিয়া যে ফিরে আসতে পারে, তেমন সুযোগ রয়েছে। এবারের বিশ্বকাপের ফরম্যাট লিগের মতো। ফলত, ১০টি দল প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে খেলবে। অর্থাৎ, প্রতি দল ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। পয়েন্ট তালিকায় থাকা প্রথম চারটি দল সেমিফাইনালে যাবে। অস্ট্রেলিয়ার প্রাথমিক লক্ষ্য হল ওই প্রথম চারে থাকা। সেই সুযোগ অবশ্যই রয়েছে। তবে, তার আগে দলের ভুল-ত্রুটিগুলো এখনই শুধরে ফেলতে হবে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours