Illegal Mosque: অবৈধ মসজিদ নির্মাণের প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ কংগ্রেস সরকারের, ক্ষোভ সিমলায়

Hindu: “তালিবানের মতো মানুষ রাস্তায় জুম্মার নমাজে জড়ো হয়, আমরা ভয় পাই”...
shimla-mosque-f
shimla-mosque-f

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমরা আমাদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রতি শুক্রবার যখন তালিবানের মতো প্রচুর মানুষ রাস্তায় জুম্মার নমাজে জড়ো হন, তখন আমাদের আত্মারাম খাঁচা ছাড়া হওয়ার জোগাড় হয়।” কথাগুলি বললেন সিমলার সানজাউলি এলাকার এক হিন্দু (Hindu) বাসিন্দা। এই এলাকায় অবৈধভাবে একটি মসজিদ (Illegal Mosque) নির্মাণ করা হচ্ছে। বেআইনি এই নির্মাণের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন স্থানীয় হিন্দুরা। স্থানীয়দের এই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ করে কংগ্রেস প্রশাসন। ১১ সেপ্টেম্বরের ওই ঘটনার পরে কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয় হিন্দুরা।

কী বলছেন স্থানীয়রা (Illegal Mosque)

সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্থানীয় এক হিন্দু (Hindu) মহিলা বলেন, “ওরা অন্য রাজ্য থেকে এখানে এসেছে। আমরা জানি না তাদের মধ্যে কেউ অন্য রাজ্যে কোনও অপরাধ করে এখানে পালিয়ে এসেছে কিনা।” তিনি বলেন, “জুম্মাবারে দেড় থেকে দুহাজার মুসলমান নমাজ আদায়ের জন্য এখানে জড়ো হয়। রাস্তার ওপর বসে নমাজ পড়ে।” তিনি বলেন, “কোভিডের সময় ওরা অবৈধভাবে মসজিদটা (Illegal Mosque) নির্মাণ করেছে। পরিকল্পিতভাবে দখল করছে স্থানীয় বাজার। আমরা দেখছি, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, সাহারানপুর থেকে এখানে লোকজন আসছে। স্থানীয়দের কাউকে দেখিনি।” তিনি বলেন, “সরকার বলছে, ১৯০ জনের নাম নথিভুক্ত করা রয়েছে। তাহলে এত মানুষ আসছে কোথা থেকে?” ওই মহিলা বলেন, “স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের উচিত তাদের বিষয়ে তথ্য যাচাই করা।”

প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ কংগ্রেসের

বেআইনি মসজিদ নির্মাণের বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন স্থানীয় হিন্দুরা। অভিযাগ, শান্তিপূর্ণ মিছিল আটকাতে লাঠিচার্জ করে কংগ্রস-শাসিত হিমাচল প্রদেশের পুলিশ। তার জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাঁদেরই একজন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী নারী ও হিন্দুদের ওপর লাঠিচার্জ করল। হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করে সানজাউলির দিকে যাচ্ছিল। সুখু সরকারের পুলিশ লাঠিচার্জ করে আমাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।”

আরও পড়ুন: ‘‘ভয় কেটে গিয়েছে’’, ভাঙা হাত নিয়ে আরজি করকাণ্ডের প্রতিবাদ মিছিলে মিঠুন

স্থানীয় আর এক হিন্দু মহিলা বলেন, “আমি ছোটবেলা থেকে সানজাউলিতে রয়েছি। তখন মসজিদটি ছিল একতলা। মসজিদ থাকলেও, কেউ দেখভাল করেনি। সেখানে শিশুরা খেলাধুলো করত। নয়ের দশকের পর এখানে আসেন সেলিম দর্জি। তারপর থেকে মসজিদ নির্মাণে গতি আসে।” তিনি বলেন, “ওয়াকফ বোর্ডের দাবি তাদের জমিতে মসজিদ নির্মিত হয়েছে। আর সরকার বলছে জমিটি তাদের।” অবিলম্বে মসজিদের (Illegal Mosque) বেআইনি অংশ ভেঙে ফেলার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা (Hindu)।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles