Recruitment Scam: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ

যাবতীয় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে
Recruitment_Corruption
Recruitment_Corruption

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার হওয়া কাঁথির সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে বিভিন্নজনকে প্রায় পাঁচ কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে অভিযোগ জানান। তারপরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাঁকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। আদালতের নির্দেশ, এই বিষয়ে যাবতীয় অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, যেহেতু নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সিবিআই তদন্ত করছে, তাই এটিও দেখার ভার দেওয়া হল সেই সিবিআইকেই। একইসঙ্গে মূল মামলার সঙ্গে এর কোনও যোগ আছে কিনা, সেটিও খুঁজে দেখতে বলা হয়েছে সিবিআইকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ১ লা মে।

বোঝাই যায়, নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) জট ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে। কাঁথির দেশপ্রাণ ব্লকের বিচুনিয়া হাইস্কুলের ইংরেজির ওই শিক্ষক দীপক জানার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাশে মামলা করা হয়েছে এই বছরের মার্চ মাসে। চাকরি দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা কুন্তল সহ অনেকে গ্রেফতার থাকা অবস্থায় তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই শিক্ষক নেতার পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া এবং তার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

কী বলেছিলেন অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ?

কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ জমা পড়ার পর এই নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) সম্পর্কে অভিযোগ নিয়ে ওই শিক্ষককে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তরে তিনি যা জানিয়েছিলেন, তার সারমর্ম হল, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কারণে তার কাছে যে অনেকে চাকরির জন্য আসতেন, তদ্বির করতেন, সেকথা তিনি স্বীকার করেছেন। তবে তিনি নাকি তাদের পাত্তা দেননি। বরং অন্য কোথাও চাকরি খুঁজে নেওয়ার কথাই বলেছিলেন। তার আশঙ্কা, এই আক্রোশ থেকেই হয়তো কেউ তার পিছনে লেগেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ থাকলে যে কোনও শাস্তি তিনি মাথা পেতে নিতে রাজি, একথাও তিনি জানিয়েছেন। তার বক্তব্য, টাকা নিলে তো হাতে নেব, না হয় কোনও অ্যাকাউন্টে নেব। প্রমাণ থাকলে দেখান। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল করার বিষয়টি একেবারেই নেই বলে তিনি মনে করেন। তার আশঙ্কা, এর পিছনে রয়েছে জ্ঞাতি কেউই। চাকরি না পেয়ে তারাই এখন পিছনে লেগেছে। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles