মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার প্রকোপ কমতে না কমতে ফের এক মারণ ভাইরাসের (H3N2 Virus) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কোভিডের পর নতুন আতঙ্কের নাম এইচ৩এন২। বিশেষ করে পুদুচেরিতে এই ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে 'ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কের' মাধ্যমে। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, এই ভাইরাস অনেকটাই ক্ষতিকারক ও মানব শরীরে খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। সাধারণ জ্বর-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও তা আস্তে আস্তে মারণ রোগের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানব শরীরকে।
কী কী উপসর্গ রয়েছে এই H3N2 Influenza A Virus এ?
এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের একটি সাবটাইপ। এমনটাই গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছে মেডিক্যাল সংস্থা আইসিএমআর। আরও জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস (H3N2 Virus) ডিসেম্বর থেকেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। সাধারণত ঠান্ডার সময় থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপের হার বেড়েছে। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট। আবার কিছু মানুষের মধ্যে নিউমোনিয়া, খিচুনি, ডায়ারিয়া ও বমি ভাব থাকছে। বৃদ্ধ এবং শিশুদের সব থেকে বেশি আক্রমণ করছে এই ভাইরাস। উপসর্গগুলি প্রায় এক বা দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকছে। যদিও মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ১০ই মার্চের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের আক্রমণে দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন কর্ণাটকের এবং অন্যজন হরিয়ানার। এখনও পর্যন্ত মোট ৩০৩৮ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তারমধ্যে ১২৪৫ জন জানুয়ারিতে, ১৩০৭ জন ফেব্রুয়ারিতে এবং ৪৮৬ জন মার্চে।
এই ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কী?
যেহেতু এটি করোনার মতোই ছোঁয়াচে একটি ভাইরাস (H3N2 Virus), তাই এই রোগের প্রতিরোধের একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন নেওয়া। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মুখে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় লক্ষণ রয়েছে, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। কোনও রকম সন্দেহজনক উপসর্গ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাওয়াই শ্রেয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours