মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জোর ধাক্কা হরিয়ানা কংগ্রেসে (Haryana Congress)। মঙ্গলবার দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বিধায়ক কিরণ চৌধুরী। জানিয়েছিলেন বুধবার মেয়ে শ্রুতিকে নিয়ে তিনি যোগ দেবেন বিজেপিতে। সেই মতো এদিন শিবির বদলালেন কিরণ ও শ্রুতি। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দল বদলান কিরণ-শ্রুতি। উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়েব সিংহ সাইনি, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর এবং বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক তরুণ চুং।
কী বললেন কিরণ? (Haryana Congress)
হাতে গেরুয়া পতাকা তুলে (Haryana Congress) নিয়ে কিরণ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্যই আজ আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই প্রধানমন্ত্রী ২০৪৭ সালের মধ্যে উন্নত ভারত গড়বেন। আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে যে ভারত বিশ্বে উজ্জ্বলভাবে কিরণ দেবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেসব জনকল্যাণমূলক কাজ করছেন, তার জেরেই কেন্দ্রে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি।” তিনি বলেন, “আমি খট্টরজির সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। আমাদের মধ্যে অনেকবার তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তিনি যেভাবে কাজ করেছেন, তা আমার কাছে প্রেরণার উৎস।”
কিরণের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা
তোশাম কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন কিরণের শ্বশুর প্রয়াত বংশীলাল। কংগ্রেসের টিকিটে জেতা বংশীলাল একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন হরিয়ানার। তাঁর স্বামী প্রয়াত সুরেন্দ্র সিংহও হরিয়ানা সরকারের মন্ত্রী ছিলেন। ২০০৫ সালে সুরেন্দ্রর অকাল প্রয়াণের পরে প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন কিরণ। কিরণের মেয়ে শ্রুতি ভিওয়ানি মহেন্দ্রগড় লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন ২০০৯ সালে, কংগ্রেসের টিকিটে। এহেন ‘কংগ্রেসি’ কিরণ এবং শ্রুতি হাতে তুলে নিলেন গৈরিক ঝান্ডা।
মঙ্গলবার কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার কথা জানিয়ে কিরণ লিখেছিলেন, “সব চেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় হল যে হরিয়ানায় কংগ্রেস পার্টি আমার মতো আন্তরিক কণ্ঠস্বরগুলির জন্য কোনও পরিসর না রেখে কয়েকজনের ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে।”
আর পড়ুন: “ভারতের নয়া সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আশ্বাবাদী”, বলছেন ট্রুডো
বুধবার কিরণ বলেন, “তিনি (খট্টর) যে সততার সঙ্গে মানুষের জন্য কাজ করেছেন, তা অতুলনীয়। আজ আমরা বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নেব। হরিয়ানায় বিজেপি সরকার গড়বে তৃতীয়বারের জন্য।” শ্রুতি বলেন, “দেশের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর জন্যই বিশ্বের দরবারে ভারতের গুরুত্ব বেড়েছে। খট্টরজিকে দেখে প্রেরণা পেয়েই আমি এখানে এসেছি। দেশ এবং রাজ্যে বিজেপিকে শক্তিশালী করতেই আমরা পদ্ম শিবিরে (Haryana Congress) যোগ দিয়েছি।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours