Bankura: এবার বন দফতর বোমা ফাটিয়ে “সবুজ বিপ্লব” ঘটাবে শুশুনিয়া পাহাড়ে

শুশুনিয়া পাহাড়ের ন্যড়া অঞ্চল তকমা ঘুচবে! ঘটবে "বীজ বোমা"য় "সবুজ বিপ্লব"
Bankura_(6)
Bankura_(6)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ায় (Bankura) ব্যাগ ভর্তি রাশি রাশি বোমা। এই বোমা হল “বীজ বোমা”। এই “বীজ বোমা” ফাটাতে বন বিভাগের কর্মীরা শুশুনিয়া পাহাড়ের পথ বেয়ে উঠছেন দলবেঁধে। সেখানে বোমা ফাটাবেন তাঁরা। পাহাড়ের সেই অংশটা পাথুরে, ফলে গাছ গজায়নি। এই অংশটা পাহাড়ের ন্যাড়া অঞ্চল হিসেবেই পরিচিত। এই ন্যাড়া অঞ্চলেই বোমা ফাটিয়ে "সবুজ বিপ্লব" ঘটানোর চ্যালেঞ্জ নিয়েছে বন দফতর।

কীভাবে বীজ বোমা ফাটানো হবে (Bankura)?

আসলে অনেকটা বোমের মতো দেখতে এই গোলাকার মন্ড "বীজ বোমা"। যাকে বন দফতরের কথায় "বীজ বোমা" বলা হয়। এই "বীজ বোমা" তৈরী করা হয় বীজ, গোবর সার, এবং জৈব সার দিয়ে। এই সব কিছুর মিশ্রণে গোলাকার আকৃতির বল বানানো হয়। যা হুবহু দেখতে বোমার মতোই। এই বোমা ফাটিয়ে দেওয়ার পর সুর্যের আলো, বৃষ্টির জল পেলে এই বোমা থেকেই ঘটবে বীজের অঙ্কুরোদগম। ধীরে, ধীরে চারা বড়ো হয়ে বৃক্ষে পরিণত হবে৷ ফলে শুশুনিয়া (Bankura) পাহাড়ের ন্যড়া অঞ্চল ন্যাড়ার তকমা ঘুচিয়ে সবুজের সমারোহে সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে। এমনই টাই মনে করছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।

বন দফতরের বক্তব্য

বন দফতরের ছাতনা রেঞ্জের আধিকারিক এষা বোস জানান, শুশুনিয়া (Bankura) পাহাড়ে সবুজ ফেরাতেই বন দফতর এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। পাহাড়ের যে জায়গাতে গাছপালা নেই, সেই জায়গাটা দিন দিন ক্রমশ্য ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাচ্ছে। মূলত ক্ষয়রোধ করার জন্য এই বীজ বোমার ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্ষাকালকেই নির্বাচন করে নিয়েছেন বন দফতর। ফলে বীজগুলি বৃষ্টির জল পেয়ে নতুন গাছ জন্মাবে। এই "বীজ বোমা"র মাধ্যমে ওই ক্ষয়িষ্ণু অঞ্চলে আকাশমণি, বাবলা সহ তিনটি গাছের বীজ ছড়ানো হচ্ছে। এর ফলে পাহাড়ের ন্যাড়া অঞ্চল সবুজ গাছে ভরে যাবে বলে আশাবাদী বন দফতর।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles