মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি ভারতের 100 ধনীর 2022 ফোর্বসের (Forbes Rich List) তালিকায় এক নম্বর স্থান দখল করেছেন। বিলিয়নিয়ার ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানিকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ফোর্বসের রিয়েল টাইম বিলিয়নেয়ারের (Forbes Rich List) তালিকায় ১৫৫.৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পত্তির অধিকারী হয়ে বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ফেলেছিলেন আদানি।এই বছরের ফেব্রুয়ারিতেই রিলায়েন্সের কর্নধার মুকেশ আম্বানিকে (Mukesh Ambani) টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যাক্তির শিরোপা ছিনিয়ে নেন। মুকেশ আম্বানি ফোর্বসের (Forbes) রিয়েল টাইম বিলিয়েনিয়ারদের তালিকায় ৮ নম্বরে রয়েছেন। তাঁর মোট অর্থের পরিমাণ ৯২ বিলিয়ন ডলার।
ফোর্বস ম্যাগাজিনের সমীক্ষা অনুযায়ী এই প্রথমবার ভারতে ২০২২ সালের শীর্ষ ধনীতম ব্যাক্তিদের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন আদানি।২০১৯ সালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ১৫.৭ বিলিয়ন। ২০২০ সালে তা বেড়ে ২৫.২ বিলিয়ন হয়। এরপর ২০২১ সালে করোনা অতিমারীর সময় যখন অর্থনৈতিক পরিস্থিতি টালমাটাল সেই সময়ে তাঁর সম্পত্তি তিনগুন বেড়ে ৭৪.৮ বিলিয়নে দাঁড়ায়। ২০২২ সালে বর্তমানে তাঁর সম্পদ দ্বিগুন বেড়ে ১৫০ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। যার জেরেই শীর্ষ স্থানে পৌছেছেন তিনি। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন রাধাকৃষ্ণ দমানি অ্যান্ড ফ্যামিলি। এ ছাড়াও তালিকায় যথাক্রমে রয়েছেন, সাইরাস পুনাওয়ালাস শিব নাদর, সাবিত্রী জিন্দল অ্যান্ড ফ্যামিলি, দিলীপ সাঙভি অ্যান্ড ফ্য়ামিলি, হিন্দুজা বন্ধু, কুমার মঙ্গলম বিড়লা এবং বাজাজ ফ্যামিলি।
তালিকায় প্রথম দশে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের সম্মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ ৮০ হাজার কোটি ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬৬ লক্ষ কোটি টাকা। ভারতের অর্থনীতির থেকে তাঁদের সম্পত্তি প্রায় ২২ গুণ বেশি।
ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় প্রথম বারের মতো প্রবেশ ঘটেছে অনলাইন প্রসাধনী বিক্রি সংস্থা নাইকা-র সিইও ফাল্গুনী নায়ারের। তালিকায় ৪৪তম স্থানে রয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর সংস্থা আইপিও হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। তার পর থেকে লাগাতার ফাল্গুনীর সম্পত্তি বেড়েছে। এই মুহূর্তে তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪৪০ কোটি ডলার। জামা-কাপড় ব্যবসায়ী রবি মোদি তালিকতায় ৫০তম স্থানে রয়েছেন। তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭৫ কোটি ডলার।
ডিজিটাল পেমেন্টস কোম্পানি পেটিএম-র কর্নধার বিজয় শেখর শর্মা এই লিস্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন কোম্পানির শেয়ার দর পতনের জন্য।
প্রসঙ্গত, আদানি গ্রুপের বন্দর পরিকাঠামো, বিদ্যুত পরিষেবা, আবাসনের মতো ক্ষেত্রে বিশাল বিনিয়োগ রয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে বেশ কয়েকটি রিপোর্টে দাবি করা হয় ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য আদানি গোষ্ঠী প্রয়োজনের অধিক ঋণ নিয়ে ফেলেছে। তার ফলে ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়তে পারে তারা। যদিও আদানি গোষ্ঠী এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়ে ১৫ পাতার একটি রিপোর্টে প্রকাশ করে জানিয়েছিল যে, তারা কীভাবে ঋণের বোঝা কমিয়েছে। আদানি গ্রুপের স্টকগুলির অসাধারণ বৃদ্ধিতে বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, খুব শীঘ্রই তিনি বার্নার্ড আর্নল্টকে ছাড়িয়ে পাকাপাকি ভাবে বিশ্বের দ্বিতীয় ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে উঠে আসবেন।
+ There are no comments
Add yours