মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গার্ডেনরিচকাণ্ডে (Garden Reach) মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। বৃহস্পতিবারই গভীর রাতে তল্লাশি চালিয়ে আরও এক মৃতদেহ উদ্ধার করেন উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা। প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচের বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এলাকার প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম এবং জমির এক মালিক মহম্মদ সরফরাজকে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তারা জানিয়েছে, প্রোমোটার ওয়াসিম ওরফে ‘ওয়াসি’ ভয় দেখিয়ে জমির মালিকের কাছ থেকে জমি হাতিয়ে বেআইনি নির্মাণ শুরু করে। প্রসঙ্গত জমির উপরে বেআইনি বহুতল নির্মাণের (Garden Reach) কথা ইতিমধ্যে স্বীকারও করেছে ওয়াসিম। চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে, জমির মালিকদের প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল প্রোমোটার ওয়াসিম।
প্রাণে মারার হুমকি
জানা গিয়েছে, জমির এক মালিক সরফরাজ প্রথমে ওয়াসিমকে জমি দিতে অস্বীকার করে। তখন নথিপত্র ছাড়াই ফ্ল্যাট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি তাকে দেয় প্রোমোটার। সে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু ততক্ষণে বেঁকে বসে জমির অপর এক মালিক। ঘটনাক্রমে সে সরফরাজের ভাই। এরপরই জমি না পেলে দুই ভাইকেই প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওয়াসিম। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জোর করে জমি (Garden Reach) হাতানোর কথা বলা হলেও কোনও রকমের অভিযোগ থানায় হয়নি। এর ফলে প্রোমোটার ওয়াসিমের মতো সমান অপরাধী হিসেবে দেখা হচ্ছে জমির মালিককেও। আপাতত নিখোঁজ রয়েছে সরফরাজের অন্য এক ভাই। জানা গিয়েছে, তাকেও জেরা করা হবে এবং প্রমাণ মিললে তার বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিম্নমানের সামগ্রী
আরও অভিযোগ এসেছে, জলাশয়ের উপর যে বহুতল নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে অত্যন্ত নিম্নমানের সামগ্রী (Garden Reach) ব্যবহার করা হয়েছে। গৃহনির্মাণের সামগ্রী অত্যন্ত কম টাকায় প্রোমোটার ওয়াসিমকে বিক্রি করে এক সরবরাহকারী। এর পাশাপাশি প্রতি বস্তা সিমেন্টের দাম নেওয়া হয়েছে ২০০ টাকা। মনে করা হচ্ছে সে কারণেই শক্তপোক্ত হয়নি কংক্রিটের ঢালাই। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেন্সিকের পদার্থবিদ্যার বিশেষজ্ঞরা সেই ধারণাতেই সিলমোহর দিয়েছেন যে অত্যন্ত নিম্নমানের মশলা ব্যবহার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে উদ্ধার মৃতদেহ
বৃহস্পতিবার রাত ২টো ৫০ মিনিট নাগাদ আবদুল রউফ নিজামি ওরফে শেরু নামের একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, বছর ৪৫-এর শেরু ধ্বংসস্তূপের (Garden Reach) নিচে চাপা পড়ে যান। পরবর্তীকালে তিনি মোবাইলে ফোনও ধরেন। শেরু বলেন, ''আমি বেঁচে আছি।'' এর পরেই নাকি তাঁর ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপরেই পরিবারের সদস্যরা বুঝে যান শেরু আর বেঁচে নেই। শেরুর দাদা সফি আখতার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, সোমবার পর্যন্ত ভাবা হয়েছিল ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাবে। বেঁচে ফিরবে সে। কিন্তু সেই আশা আর নেই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours