মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পদ্মশ্রী পুরস্কারে সম্মানিত হচ্ছেন বীরভূমের (Birbhum) লোকসঙ্গীত শিল্পী রতন কাহার। তাঁর সব থেকে জনপ্রিয় গান হল ‘বড়লোকের বিটি লো লম্বা লম্বা চুল’। এই খবর শোনার পর রতন কাহারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, ‘‘অনেক অভাব-অনটনের মধ্যে গান গেয়েছি আমি। ভারত সরকার যে আমায় এই সম্মান দিল, আমি খুব খুশি হয়েছি।’’ জেলাবাসীর কাছে এই সম্মান অত্যন্ত গর্বের বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বীরভূমের কোথায় বাড়ি (Birbhum)?
প্রখ্যাত লোকশিল্পী রতন কাহারের বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে। তিনি লোকগানের মধ্যে ভাদু গান গাওয়ার মধ্যে দিয়েই নিজের সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন। ১৯৭২ সালে তিনি প্রথম গান রেকর্ড করেন রেডিও সেন্টারে। পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন ৭৭ টাকা ১৫ পয়সা। এছাড়াও তিনি টুসু, ঝুমুর এবং আলকাপ গানে বেশ পারদর্শী। মূল ধারার লোকসঙ্গীতের সঙ্গে পরম্পরা বা প্রথাগত গানেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। এখনও পর্যন্ত তাঁর স্বরচিত গানের সংখ্যা হল ২৫০।
কী জানালেন রতন কাহারের ছেলে?
রতন কাহারের ছেলে দেবাশিষ কাহার বলেন, “দিল্লি থেকে ফোন করে পদ্মশ্রী সম্মান দেওয়া হচ্ছে বলে বাবাকে জানানো হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এই সম্মানে ভীষণ খুশি।” এলাকার মানুষের বক্তব্য, তাঁরাও সিউড়িবাসী হিসেবে ভীষণ খুশি। কারণ বাংলার লোকগানের মুকুটে আরও এক পালক যুক্ত হল। বৃদ্ধ বয়সে এই লোকশিল্পীর এই সম্মাননা প্রাপ্য ছিল। সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমে পরিবারের আর্থিক সঙ্কটের কথা জানিয়েছেন এই শিল্পী। সঞ্চয়ের সামান্য টাকার সুদ এবং লোকশিল্পীর সামান্য ভাতায় কোনও রকমে সংসার চালান বলে জানিয়েছিলেন রতন কাহার (Birbhum)।
বড়লোকের বিটি গান রেকর্ডে বিতর্ক
'বড়লোকের বিটি লো' গানটি প্রথম রেকর্ড করেন শিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী। এর পরবর্তী সময়ে বলিউড সঙ্গীতশিল্পী বাদশা তাঁর ‘গেন্দা ফুল’ গানে বড়লোকের বিটি গানের অংশ ব্যবহার করেন। এই গানটিও বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে গানে রতন কাহারের ঋণ স্বীকার করেননি তিনি। এই নিয়ে সমালোচনার ঢেউ উঠেছিল। এরপর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক হইচই হলে বাধ্য হয়ে রতন কাহারের কাছে ক্ষমা চান বাদশা। ঠিক তারপরেই সাম্মানিক হিসাবে পাঁচ লাখ টাকা রতন কাহারকে (Birbhum) তিনি পাঠান বলে জানা গিয়েছিল।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours