SCO: কাজাখস্তানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেবেন জয়শঙ্কর   

Kazakhstan: মোদি নয় এসসিওর বৈঠকে জয়শঙ্কর
Untitled_design_(29)
Untitled_design_(29)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার ঘোষণা করেছে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে সাংহাই কো-অপারেশন (SCO) অর্গানাইজেশনের বৈঠকে যোগ দেবে ভারত। এই বৈঠকে ভারতীয় মিশনের নেতৃত্ব দেবেন বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ৩ ও ৪ জুলাই কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় এসসিওর শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।

এসসিও-র বৈঠকে যাচ্ছেন জয়শঙ্কর (SCO)

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রন্ধির জয়সওয়াল শনিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, “বিদেশ মন্ত্রী এসসিওর বৈঠকে আমাদের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। গত বছর ভারত এসসিওর সভাপতিত্ব করেছিল। এবার (SCO) সভাপতিত্ব করবে কাজাখস্তান (Kazakhstan)। সে দেশের প্রেসিডেন্ট কাসিম জোমার্ট টোকায়েভ প্রস্তাব দিয়েছেন একটি সমবায় বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা হবে। এছাড়াও এবারের এসসিও সামিটে বাণিজ্য, জলবায়ু, শান্তি-শৃঙ্খলা সহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় আলোচনা হবে।”

কাজাখস্তানকে সহযগিতার আশ্বাস ভারতের (Kazakhstan)

জানা গিয়েছে ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাজাখস্তানের রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। আস্তানায় পরবর্তী শীর্ষ সম্মেলনের জন্য তিনি তাঁর সম্পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আলোচনা চলাকালীন দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত ভিত্তি গড়ে তুলতে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাঁদের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী আশা ব্যক্ত করেছেন কাজাখস্তানের নেতৃত্বে এই অঞ্চলের মধ্যে বাণিজ্যিক সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভাবে অগ্রসর হবে। দ্বিপাক্ষিক কথোপকথনের পর প্রধানমন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “কাজাখস্তানের (Kazakhstan) রাষ্ট্রপতি মহামান্য কাসিম জোমার্ট টোকায়েভের সঙ্গে ভালো কথোপকথন হয়েছে। নির্বাচনে সাফল্যের জন্য উষ্ণ শুভেচ্ছার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। কাজাখস্তানের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি। আসন্ন এসসিও (SCO) শীর্ষ সম্মেলনের সাফল্যের জন্য ভারতের তরফের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।

এসসিওর গুরুত্ব

প্রসঙ্গত সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনার জন্য চিন, রাশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান সদস্য দেশ হিসেবে অংশীদারিত্ব নিয়ে থাকে। ২০২৩ সালে ভারতের সভাপতিত্বকালীন সময়ে ইরানকে একটি পূর্ণ সদস্য হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। এছাড়াও বেলারুশ একটি পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র হিসেবে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: অপহৃত নাবালিকার জন্য জাতিসংঘের কাছে আবেদন সিন্ধি ফাউন্ডেশনের! দাবি স্বাধীন তদন্তের

এসসিইওর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সন্ত্রাস দমন বিষয়ে নানা সময় আলোচনা হয়েছে। এই সংস্থার সদস্য দেশগুলি বিশ্বের ৪০% মানুষ ও ৬০ শতাংশ ভূখণ্ড ও জিডিপির ৩০% কভার করে।

 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles