Uttar Dinajpur: সহায়ক মূল্যে নয়, কম দামে ফড়়েদের কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা

উত্তর দিনাজপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ফড়েরা, প্রশাসন কী করছে?
Uttar_Dinajpur_(3)
Uttar_Dinajpur_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে জেলাজুড়ে চলছে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য প্রচার। আর চাষিরা সরকারি নির্ধারিত দামের অনেক কমে ফড়েদের কাছে তা বিক্রি করে দিচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চাকুলিয়া হাট সহ জেলা জুড়ে এই ঘটনা ঘটছে। চাষিরা যাতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারে তারজন্য প্রশাসনের কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ।

ফ়ড়ে রুখতে অভিযান চালিয়েও কোনও লাভ হয়নি (Uttar Dinajpur)

ধান বিক্রিতে ফড়ে-রাজ রুখতে কিছুদিন আগে জেলা (Uttar Dinajpur) জুড়ে বিভিন্ন হাটে সাদা পোশাকে নজরদারি শুরু করেন পুলিশ ও দুর্নীতি দমন শাখার কর্মীরা। প্রশাসন সূত্রের দাবি, সে নজরদারিতেই জেলা জুড়ে বিভিন্ন হাটে ফড়েদের বিরুদ্ধে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক দামের থেকে কম দামে ধান কেনার অভিযোগ জানতে পেরেছেন খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যেই ওই দফতরের তরফে জেলার ন'টি ব্লকে মাইক-যোগে কৃষকদের সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রি করে বেশি লাভ পাওয়ার বিষয়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। জেলার ন'টি ব্লকের সমস্ত কিষান মান্ডিতে প্রতি কুইন্টাল ধান ২,২০৩ টাকা  সরকারি সহায়ক দরে কেনার কাজ চলছে। তার মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, জেলার বিভিন্ন হাটে কুইন্টাল প্রতি কোথাও ১,৭৫০, কোথাও আবার ১,৮০০-১,৮৫০ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে ফড়েরা ধান কিনছেন। ফড়েদের দাবি, তাঁরা ওই ধান পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে কুইন্টাল পিছু দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি করবেন।

চাষিদের কী বক্তব্য?

চাষিদের বক্তব্য, সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রির তারিখ পেতে অনেক ঝামেলা। তা ছাড়া, ধানের মান খারাপের যুক্তি দেখিয়ে প্রতি কুইন্টালে সাত থেকে ১০ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হয় । ঝামেলা এড়াতে আমি প্রতি ১,৮৫০ টাকা দরে স্থানীয় হাটে ৫০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছি।

খাদ্য দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

জেলা (Uttar Dinajpur) খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক সঞ্জীব হালদারের বক্তব্য, সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রির প্রক্রিয়ায় অনেক সরলীকরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও কৃষক অসচেতন থেকে যদি নিজের ক্ষতি করে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করেন, তবে আমাদের কিছু করণীয় নেই। গত বছর জেলায় ১৫টি ধান কেনার শিবির করা হয়েছিল। এ বার ১৯টি শিবির করা হয়েছে। চাকুলিয়া আরও শিবির করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles