Barrackpore: জেল থেকে ফোনেই চলছে তোলাবাজি! আতঙ্কে ব্যবসায়ীরা, কী করছে পুলিশ?

বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ফোনেই চলছে তোলাবাজি, কারা করছে ফোন জানেন?
Barrackpore_(2)
Barrackpore_(2)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore)  শিল্পাঞ্চলে অবাধে তোলাবাজি চালায় বিচারাধীন বন্দিরা। পুজোর আগে এইসব দাগি বিচারাধীন বন্দিদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানালেন বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। জেল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। জেলে থাকা বন্দিদের হাতে মোবাইল যাতে কোনওভাবেই না পৌঁছায় তা দেখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে তোলাবাজি! কী বললেন ব্যবসায়ীরা?

কয়েক মাস আগেই বারাকপুর (Barrackpore) শহরের এক নামী বিরিয়ানি প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিককে স্করপিও গাড়ি চেয়েছিল এক দাগি বন্দি। জেলে বসেই বিচারাধীন বন্দি সেই টাকা চেয়েছিল। বিরিয়ানির মালিক থানায় অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ মোবাইল ট্র্যাক করে জানতে পারে জেলখানা থেকেই এই ফোন এসেছে। এর পাশাপাশি বারাকপুর-বারাসাত রোডের উপরে আরও এক বিরিয়ানির মালিকের কাছে মোটা টাকা চায় এক বিচারাধীন বন্দি। বিরিয়ানি মালিক টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে হুমকি দেয় ওই বন্দি। হুমকি দেওয়ার দু'দিনের মধ্যেই বিরিয়ানির দোকানে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। দোকান লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিও ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এছাড়া ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বড় ব্যবসায়ী, প্রোমোটারের কাছ থেকেও তোলা দাবি করে এই সব দাগি অপরাধীরা। জেলে থেকেই চলে তোলাবাজির কারবার। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, জেলের ভিতরে বন্দিদের হাতে কী করে মোবাইল যায়? এর পিছনে জেল কর্তৃপক্ষের একাংশে হাত রয়েছে। জেলে বসেই বন্দিরা ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের অপরাধ জগৎ সামলাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসন কড়া না হলে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে। এই অঞ্চলে ব্যবসায়ীরা সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা করতে পারবে না। জানা গিয়েছে, বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বারাকপুর মহকুমা সংশোধনাগার ছাড়াও দমদম জেল রয়েছে। মূলত এই দুটি জেল থেকেই দাগি বিচারাধীন বন্দিরা ফোন করে তোলাবাজি চালায়। এই দুই জেল কর্তৃপক্ষকে দাগি অপরাধীদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য বলা হয়েছে।

কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক?

বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, পুজোর আগে  জেল থেকে দাগি বিচারাধীন বন্দিরা তোলাবাজি করতে না পারে এই বিষয়ে জেল কর্তৃপক্ষকে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এই ধরনের কারবারের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। তাদের হাতে কোনও ভাবেই যাতে মোবাইল না যায়  তার নজরদারি করতে বলা হয়েছে। জেলে বসে কিভাবে তারা বাইরের। দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles