মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা ব্যক্তিদের প্রতি সদয় ও সম্মান প্রদান করতে প্রকাশিত নির্দেশিকার মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে পরামর্শ দিল নির্বাচন কমিশন (EC issues Guidelines)। কল্যাণকাণ্ডের পর কমিশনের এই নির্দেশিকা নিয়ে জোর চর্চা রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে।
কল্যাণকাণ্ডে জোর চর্চা
সম্প্রতি, সংসদের বাইরে প্রতিবাদ চলাকালীন দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়কে মিমিক করেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। কল্যাণের সেই মিমিক্রির ভিডিও নিজের ফোনে বন্দি করতে দেখা যায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। এই ঘটনায় তুমুল শোরগোল পড়ে যায়। কল্যাণের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করে বিজেপি। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ ধনখড়কে ফোন করে সমবেদনা জানান খোদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোশ্যাল মিডিয়াতেও কল্যাণের উদ্দেশে ধেয়ে আসে কটাক্ষের বন্যা।
এই প্রেক্ষিতে, বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন (EC issues Guidelines)। ওই নির্দেশিকায় সরাসরি কল্যাণকাণ্ডের উল্লেখ না করা হলেও, নির্দেশিকার সময় ও বিষয়বস্তু নিয়ে বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা। ঠিক কী বলা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়?
কী আছে নির্দেশিকায়?
কমিশনের পাঠানো নির্দেশিকায় বলা হয়েছে— প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ভোটগ্রহণে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে ও সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে তুলতে কোনও প্রকার আপস করে না নির্বাচন কমিশন। সফল গণতন্ত্রের ভিতে রয়েছে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সকল গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণ। কমিশন আরও জানিয়েছে (EC issues Guidelines), সকলের সমান অংশগ্রহণের অন্যতম লক্ষ্য হল প্রতিবন্ধী ও বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা ও তাঁদের যোগ্য সম্মান প্রদান করা। যে কোনও জনসমাবেশ, লেখা, রাজনৈতির প্রচারের সময় রাজনৈতিক দল এবং তাদের প্রতিনিধিদের উচিত শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দুর্বলতা সংক্রান্ত ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য বা কটাক্ষ করা থেকে বিরত থাকা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours