মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটকে প্রি ইউনিভার্সিটি কোর্সের (উচ্চমাধ্যমিক) ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে চলতি মাসের ২১ এপ্রিল। ৬০০ এর মধ্যে ৫৯৩ পেয়ে কলা বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে রাজ্যের তবসুম শাহিক (Tabassum Shaik)। হিন্দি, সমাজবিদ্যা এবং দর্শনে সে ১০০ এর মধ্যে ১০০ পেয়েছে। সাফল্যের পর সে সংবাদমাধ্যমকে জানায়, হিজাবের (Hijab) অধীনে শিক্ষা নয়, বরং হিজাবের (Hijab) উপর শিক্ষাকে দেখতে চায় সে। প্রসঙ্গত, হিজাব পরে শিক্ষাঙ্গণে প্রবেশ ইস্যুতে গত কয়েকবছর ধরেই সরগরম ছিল দক্ষিণের এই রাজ্য। ধর্মীয় পোশাকের বদলে স্কুল ইউনিফর্মে স্কুলে আসতে হবে, এই দাবিতে সেসময় পথে নামে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিবি। গত বছরেই কর্ণাটক হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, হিজাব (Hijab) বা বোরখা নয় বরং স্কুলের ড্রেস কোড সবাইকে মানতে হবে। সেই আবহে রাজ্যের বোর্ডের পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী ছাত্রীর এই মন্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।
হিজাব (Hijab) বিতর্কে কী বললেন শাহিক ?
বেঙ্গালুরুর নগরথাম্মা রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ের এই ছাত্রীর মতে, হিজাবের থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল শিক্ষা। তিনি বলেন, আমি সর্বদাই আমার ফোকাস রেখেছি শিক্ষায়। শিক্ষার জন্য কিছু আত্মত্যাগ তো আমাদের করতেই হবে।
কর্নাটকে হিজাব (Hijab) বিতর্ক
জানা গিয়েছে, তবসুম (Tabassum Shaik) নিজেও হিজাব (Hijab) পরেই স্কুলে যেত, কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশের পর সে আর কখনও একাজ করেনি। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাস নাগাদ প্রথম এই বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। স্থানীয় একটি কলেজ কর্তৃপক্ষ সেসময় হিজাব (Hijab) পরে শিক্ষাঙ্গণে ঢোকা যাবেনা বলে নির্দেশ জারি করে। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সেসময় কলেজের সামনেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে কলেজের মুসলিম ছাত্রীদের একাংশ। তাদের দাবি ছিল হিজাব ইসলাম ধর্মের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অন্যদিকে এই আন্দোলনে পিছন থেকে সাহায্য করতে থাকে পিএফআই-এর মতো উগ্র ইসলামিক সংগঠনগুলি। পাল্টা সেখানকার হিন্দু ছাত্রদের একাংশ গলায় গেরুয়া উত্তরীয় জড়িয়ে স্কুলে আসতে থাকে। সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যের রাজনীতি। কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে ইউনিফর্মেই সবাইকে শিক্ষাঙ্গণে আসতে হবে। একই নির্দেশ বজায় রাখে কর্নাটকের হাইকোর্ট।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours