মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন তথ্য এল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে। আরও বিপাকে তৃণমূল যুবনেতা কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। কুন্তলকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, তাঁর হাতেই হয়েছে ৩৫টি অবৈধ চাকরি। নবম, দশম এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের চাকরি করিয়েছেন কুন্তল। জেরায় নিজের মুখেই সেকথা স্বীকার করেছেন তিনি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অবৈধ উপায়ে চাকরি পাওয়া স্কুলশিক্ষকরা মূলত মুর্শিদাবাদ, পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাসিন্দা।
ইডি জেরায় কী জানা গেল?
চাকরির বিনিময়ে কত টাকা নেওয়া হয়েছিল, কারা সেই টাকা লেনদেন করতেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চায় ইডি। ইডির দাবি, ২০১৪ থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত কুন্তল (Kuntal Ghosh) এবং শান্তনু। দুজনেই হুগলির বলাগড় অঞ্চলের বাসিন্দা। শনিবার কুন্তল দাবি করেন, পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা গোপাল দলপতি শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডের মাথা। পাশাপাশি, মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গড়িয়ার ব্যবসায়ী নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তল। তবে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি কোনও টাকা দেননি বলে জানিয়েছেন। ধৃত যুবনেতার দাবি, তাপসের সঙ্গে তিনি শান্তনুর আলাপ করিয়ে দেননি তিনি। নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে তাঁদের তিন জনের কোনও বৈঠক হয়নি বলেও জানান কুন্তল। প্রসঙ্গত, শান্তনু আগেই বলেছেন, দু’জনের বাড়িই বলাগড় এলাকায় হলেও তিনি কুন্তলকে চেনেন না! এদিকে শান্তনুর আরও দাবি তিনি তাপসকেও চেনেন না।
আরও পড়ুন: বীরভূমে ফের বিক্ষোভের মুখে ‘দিদির দূত’! অস্বস্তি এড়াতে পাশ কাটিয়ে গেলেন বিধায়ক
শুক্রবার বিধাননগর হাসপাতালে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। সেখানে সাংবাদিকদের কুন্তল (Kuntal Ghosh) বলেন, ‘‘অনেক কোটি টাকা নিয়েছে ওরা। আমার কাছ থেকে জোর করে নিয়েছে।’’ তাপস-ঘনিষ্ঠ গোপাল সম্পর্কে কুন্তল বলেন, ‘‘গোপাল দলপতি সব থেকে ‘মেন’। সকলের হয়ে টাকা নিয়েছে।’’
একই সঙ্গে মানিক ভট্টাচার্যের ‘ঘনিষ্ঠ’ তাপস মণ্ডল এবং গড়িয়ার ব্যবসায়ী নীলাদ্রি ঘোষের বিরুদ্ধেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন কুন্তল।
+ There are no comments
Add yours