Durga Puja 2023: আয় নামমাত্র, তবুও জীর্ণ চেহারা নিয়ে এঁকে চলেছেন দেবী দুর্গার পটচিত্র!

পুজোর উদ্যোক্তাদের অনুদান বাড়ে, শিল্পীদের আঁধার কাটে না!
Durga_Puja_2023_(10)
Durga_Puja_2023_(10)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি বছর রাজ্যের পুজো (Durga Puja 2023) উদ্যোক্তাদের জন্য আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে চলেছেন। অথচ যাঁদের জন্য এই দুর্গাপুজো, তাঁরা পড়ে রয়েছেন সেই তিমিরেই। তাঁদের তৈরি দেবী দুর্গার পটচিত্রের দাম তো বাড়েইনি, একই সঙ্গে নেই কোনও সরকারি সাহায্য। বাধ্য হয়ে দিনের পর দিন বাড়িতে বসে স্বামী-শ্বশুরের এই শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন রেবাদেবীর মতো বৃদ্ধারা। বয়স ৫০ পার করেছে অনেকদিন আগে। ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারেন না। তবুও জরাজীর্ণ বারান্দার নিচে বসে জনতার স্টোভে সাবুর আঠা জ্বাল দিয়ে পটচিত্র এঁকে চলেছেন ঘূর্ণির পটুয়াপাড়ার রেবা পাল।

জীবন ধারণের একমাত্র পথ (Durga Puja 2023)

পাল বাড়িতে বিয়ে হওয়ার পর থেকেই দেখছেন শশুর ও স্বামীর পটচিত্র আঁকা। ধীরে ধীরে রেবাদেবীও স্বামী-শ্বশুরের মৃত্যুর পর তাঁদের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এগিয়ে এসেছেন। আর এই শিল্পই এবার জীবন ধারণের একমাত্র পথ ও অবলম্বন। দেবদেবীকে নিয়ে তৈরি পটচিত্র কলকাতার কুমোরটুলি সহ রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যে পাড়ি দেয়। সারা বছর কমবেশি কাজ থাকলেও দুর্গাপুজোর সময় (Durga Puja 2023) পটচিত্রের চাহিদা থাকে বেশি। খাটুনি অনুসারে পয়সা নেই, তবুও জীবন জীবিকা নির্বাহ হিসেবে পটচিত্র শিল্পকেই বেছে নিয়েছেন রেবাদেবী।

কী বলছেন বৃদ্ধা শিল্পী?

দেখতে দেখতে ৫০ বছর হয়ে গেল এই কাজে। স্বামীর হেল্পার হিসেবে প্রথম জীবনে কাজ শুরু। কারণ, স্বামীর অঙ্গহানি হওয়ায় একটা হাত তিনি তুলতে পারতেন না। কলকাতায় নিজেই একা গিয়ে বিক্রি করে এসেছেন। গেছেন বিধাননগর, কুমোরটুলি। এখন একাই কাজ করছেন। সারা বছর কাজ হয়? উত্তরে তিনি বললেন, একদিনের কাজ এটা নয়। সারা বছর টুকটাক কাজ করে রাখি। কিন্তু একেকটা পটচিত্রের (Durga Puja 2023) দাম খুব কম, ১০০ টাকার মধ্যে। যে হারে পরিশ্রম করি, সেই অনুযায়ী কিছুই পাই না। সরকারি সাহায্য বলতে ওই এক হাজার টাকা বার্ধক্য ভাতা। কিন্তু এই শিল্পের জন্য কিচ্ছু সাহায্য পাই না। সবাই আসে, শুনে যায়, কিন্তু কেউই সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দেয় না। পরবর্তী প্রজন্ম কি এই ধরনের কাজে এগিয়ে আসছে? প্রশ্ন শুনে বৃদ্ধার সাফ জবাব, আসবে কী করে? পয়সা নেই তো। বিক্রিও যে আছে, তাও নয়। আগে দাম কম থাকলেও চাহিদা ভালোই ছিল। কিন্তু কম্পিউটার ওঠার পর থেকে সেটাও গেছে, আক্ষেপ ঝরে পড়ল বৃদ্ধার গলায়।

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles