মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: 'নমঃ মহিষগ্নি মহামায়ে, চামুন্ডে মুন্ডমালিনী' এই মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমেই শুরু হয় অষ্টমীর সকাল। দুর্গাপুজোর (Durga Puja) চারদিনের মধ্যে অন্যতম হল অষ্টমী (Ashtami)। এদিনের ভোরটা যেন একেবারে অন্যরকম। খুব ভোরে উঠে, স্নান করে পরিষ্কার বা নতুন জামাকাপড় পরে, নির্দিষ্ট সময় মণ্ডপে উপস্থিত হন আপামর বাঙালি। পুজোর তিনদিন পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া গেলেও মহাষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি একেবারে অন্যরকম। অষ্টমী পুজোর শেষে শুরু হয় অঞ্জলি। বহু বাঙালি এই শুভক্ষণটার জন্য সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন। অষ্টমীর মাহাত্ম্যের কথা বিচার করে সবাই অষ্টমী তিথিতেই অঞ্জলি দিতে চান। সনাতন ধর্ম বলে, অষ্টমীতে অঞ্জলি দিলে সব কাজে সিদ্ধি লাভ হয়। সব বাধাবিঘ্ন দূর হয়। সন্তান ও অর্থ লাভ হয়। দুঃখ, শোক, রোগ দূর হয়। দারিদ্র নাশ ও শত্রু-ক্ষয় হয়। ভক্তরা গ্রহ-শান্তি লাভ করেন। অন্তরের পাশবিক কামনা বাসনা দূর হয়। অষ্টমীর অঞ্জলি দেওয়ার সময়ই মায়ের কাছে সেই কামনাই করেন সকলে।
নমঃ আয়ুর্দ্দেহি যশো দেহি ভাগ্যং ভগবতি দেহি মে।
পুত্রান্ দেহি ধনং দেহি সর্ব্বান্ কামাশ্চ দেহি মে।।
হর পাপাং হর ক্লেশং হর শোকং হরাসুখম।
হর রোগং হর ক্ষোভং হর মারীং হরপ্রিয়ে।
অষ্টমী তিথিতেই দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। অষ্টমী ও নবমীর সন্ধিক্ষণে দেবীর কাছে পরাস্ত হন অসুররাজ। পুরাণ মতে, এদিন দেবীকে রণসাজে সাজান দেবতারা। নিজেদের অস্ত্র দেবীর হাতে তুলে দেন তাঁরা। প্রতিটি অস্ত্রকে এদিন দেবজ্ঞানে পুজো করা হয়। তাই একে বীরাষ্টমীও বলে। অষ্টমীর দিন দেবীকে অনেক জায়গায় মহা গৌরী রূপে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় অষ্টমাতৃকা ব্ৰহ্মাণী, মাহেশ্বরী, কৌমারী, বৈষ্ণবী, বরাহী, নরসিংহী, ইন্দ্রানী ও চামুণ্ডার পুজো করা হয়ে থাকে।
জেনে নিন এবারের মহাঅষ্টমীর সময় ও তিথি:
তারিখ – সোমবার ৩ অক্টোবর ২০২২ , বাংলা ১৬ ই আশ্বিন।
সময় – বেলা ৩ টে ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত অষ্টমী থাকবে।
সন্ধিপূজা – বেলা ৩ টে ৩৫ মিনিট ১৮ সেকেন্ড থেকে বিকেল ৪ টে ২৩ মিনিট ১৮ সেকেন্ড পর্যন্ত।
+ There are no comments
Add yours