মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নামকরা পরিচালক তিনি। একাধিক হিট সিনেমার কারিগরও বটেন। কিন্তু মুখোশের আড়ালে করতেন মাদক পাচারের (Drugs Smuggling) কাজ। ধরা ছোঁয়ার বাইরে রোজগার হচ্ছিল এতে। আসছিল কোটি কোটি টাকা। অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন পরিচালক। ২ সপ্তাহ আগেই দিল্লি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় ২ জন ব্যক্তি যাদের কাছে উদ্ধার হয় ৫০ কেজি মাদক। তখনই উঠে আসে দক্ষিণী সিনেমার পরিচালক জাফার সাদিকের নাম। এরপরেই খোঁজ শুরু হয় ওই পরিচালকের। জাফরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার হয় তাঁর কাছে, যার বাজারমূল্য ২০০০ কোটি টাকা! মাদক পাচারের টাকা পরিচালক বিনিয়োগ করতেন তাঁর একাধিক ব্যবসায়।
৪৫ দফায় মোট ৩,৫০০ কেজি মাদক পাচার করেছিলেন জাফর
জানা গিয়েছে, দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Drugs Smuggling) নামকরা পরিচালক জাফর সাদিকের মাদক কারবার চলত আন্তর্জাতিকভাবে। ভারত-অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্য়ান্ড জুড়ে তাঁর বিরাট মাদক পাচারের চক্র সক্রিয় ছিল। এর মূল মাথা বা কিংপিন ছিলেন জাফর। অবশেষে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারির পর এনসিবির এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে ২ হাজার কোটি টাকার মাদক পাচার করেছিলেন জাফার সাদিক। সিউডোফেড্রিন নামের ওই মাদক পাচার করছিলেন ওই পরিচালক। ৪৫ দফায় মোট ৩,৫০০ কেজি মাদক পাচার করেছিলেন তিনি। জানা গিয়েছে, এখনও অবধি সাদিক মোট চারটি সিনেমায় পরিচালনা করেছেন। এরমধ্যে একটি সিনেমা এই মাসেই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।
সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতে একাধিক মাদক পাচারের ঘটনা
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই দক্ষিণ ভারতের মাদুরাইয়ে দুই রেলযাত্রীকে বিপুল মাদক (Drugs Smuggling) সহ গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের কাছে উদ্ধার হয় ৩৬ কেজি মাদক। যার বাজারমূল্য ছিল ১৮০ কোটি টাকা। এছাড়া চেন্নাইয়ের একটি ডাম্প ইয়ার্ড থেকেও ৬ কেজি মাদক উদ্ধার করা হয় সম্প্রতি। এই মাদক শ্রীলঙ্কায় পাচার করা হচ্ছিল বলে জানা যায়। উদ্ধার হওয়া ওই মাদক মেটামফেটামিন ছিল, যা ক্রিস্টাল মেথ নামেও পরিচিত। কোকেনের মতোই এই মাদকও ভয়ঙ্কর এবং অতিরিক্ত সেবনে প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে, এমনটাই মতক বিশেষজ্ঞদের। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পাশাপাশি মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনও এই তদন্তে যোগ দিয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours