মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালী (Kali Puja 2023) বিভিন্ন রূপে পূ্জিত হন। তন্ত্র মতে, শক্তি আরাধনায় মা কালী ভীষণ জাগ্রত দেবী। মাকে ১১ রূপে বিনাশকারী শক্তি হিসাবে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা। যজ্ঞ এবং বলি হল পুজোর একটি প্রধান অঙ্গ। আসুন জেনে নিই মায়ের ১১ প্রকার তান্ত্রিক শক্তির মাহাত্ম্যকথা এবং কীভাবে তিনি পূজিত হন।
দক্ষিণাকালী
গ্রাম বাংলায় সবথেকে বেশি কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয় দক্ষিণাকালীর। এই কালী শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। মায়ের সমস্ত শরীর নীল বর্ণের হয়ে থাকে। রুদ্র মূর্তি, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশী হয়ে থাকেন মা। গলায় মুণ্ডমালার সমাহার। বাম হাতে নরমুণ্ড এবং খড়্গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। মায়ের পদতলে থাকেন মহাদেব।
শ্মশানকালী
এই কালীপুজো মূলত শ্মশানে হয়ে থাকে। বাড়িতে শ্মাশানকালীর পুজো হয় না। আদি পর্ব থেকেই অশুভ কাজ করতে যাওয়ার আগে ডাকাতরা এই কালীপুজো করতেন। বাংলার অনেক বিখ্যাত ডাকাত এই দেবীর উপাসক ছিলেন। তন্ত্র, মন্ত্র এবং বলি এই কালীপুজোর অন্যতম উপাদান।
সিদ্ধকালী
এই সিদ্ধকালীর আরেক নাম হল ভুবনেশ্বরী। অমাবস্যার দিনে এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয়ে থাকে। সাধারণ পরিবারে এই কালীপুজো হয় না। সাধকরা মূলত সিদ্ধিলাভের জন্য এই পুজো করে থাকেন। এই কালীর দুই হাত থাকে। দেবীর শরীরে গয়না থাকে। এই দেবী অমৃত বর্ণে সজ্জিত থাকেন।
ফলহারিণী কালী
এই কালীপুজো হল বাৎসরিক পুজো। গৃহস্থের বাড়িতে শান্তি ফেরাতে কালীপুজো করা হয়ে থাকে।
মহাকালী
এই কালীর একসঙ্গে দশ মাথা, দশ হাত এবং দশ পা থাকে। দেবীর পায়ের নিচে কাটা মস্তক থাকে। দশ হাতেই অস্ত্র সজ্জিত থাকে। তবে শিব ঠাকুর মায়ের সঙ্গে থাকেন না। ভূত চতুর্দশীর দিনে এই মহাকালীর পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত বাড়িতে এই কালীপুজো হয় না।
কাম্যাকালী
এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) সাধারণত অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমাতে হয়ে থাকে। মোটামুটি দক্ষিণা কালীর মতোই পূজিত হন। বিশেষ মনোবাসনা পূরণের আশায় এই দেবীর আরধনা করা হয়।
গুহ্যকালী
এই দেবীর গায়ের রং কালো। গালায় ৫০ টি নরমুণ্ড হার সজ্জিত থাকে। কানে থাকে শব দেহ বিশিষ্ট অলঙ্কার। তন্ত্রমতে এই দেবীর রূপ অত্যন্ত ভয়ঙ্করী।
ভদ্রকালী
জনসমাজের কল্যাণের কারণে এই কালীপুজো করা হয়। মূলত বিভিন্ন বারোয়ারি মন্দিরে এই দেবীর পুজো করা হয়।
চামুণ্ডা কালী
চামুণ্ডা কালী হল আদি শক্তি। তিনি একই সঙ্গে ভগবতী দুর্গা আবার একই সঙ্গে পার্বতী। সেই সঙ্গে চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন দেবী। অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করেন এই চামুণ্ডা দেবী।
শ্রীকালী
শ্রীকালী, দেবী দুর্গা অথবা পার্বতীর বিশেষ বিশেষ রূপ। এই দেবী দারুক নামক অসুরকে বধ করেছিলেন। মহাদেবের কণ্ঠে ঢুকে কণ্ঠের বিষকে ধারণ করেন এই দেবী।
রক্ষাকালী
দক্ষিণাকালীর একটি বিশেষ রূপ হল রক্ষাকালী। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করার জন্য এই দেবীর নাম রক্ষাকালী। পরিবারে সাধারণ বসতিভুমিকে রক্ষা করতে এই দেবীর পুজো করা হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours