মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ
তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।
শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ
কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours