mRNA Covid-19 vaccine: ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র ডিসিজিআইয়ের

সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভোভ্যাক্স কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল, যা ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে...
Covid_Vaccine
Covid_Vaccine

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আঠারো-ঊর্ধ্বদের ক্ষেত্রে ভারতে তৈরি প্রথম এমআরএনএ প্রতিষেধকের (mRNA vaccine) আপৎকালীন ব্যবহারে  ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI)। পুনের (Pune) ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জেনোভা বায়োফার্মা করোনার এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। এই ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দেওয়া যাবে। 

এই এমআরএনএ টিকা ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। বিভিন্ন mRNA ভ্যাকসিন শূন্যের নিচে তাপমাত্রায় রাখতে হয়, কিন্তু জেনোভার  প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি এই ভ্যাকসিনটি ২-৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতে রাখলেও নষ্ট হবে না। ফলে এই ভ্যাকসিন  সহজেই এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে। জেনোভার তরফে দাবি করা হয়েছে, যে এই ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই। এই ডোজগুলি ২৮ দিনের ব্যবধানে প্রয়োগ করা  হবে। গত শুক্রবার, করোনা মোকাবিলায় এই এমআরএনএ ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল, যা  মঙ্গলবার গভীর রাতে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল দ্বারা অনুমোদিত হয়। 

আরও পড়ুন: পেছাচ্ছে না নীট পরীক্ষা, জানিয়ে দিল এনটিএ, অ্যাডমিট ডাউনলোড কীভাবে?

ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থার তরফে জানানো হয়, ফেজ-২ ও ফেজ-৩ ট্রায়ালে ৪ হাজার মানুষের ওপর এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে। মেসেঞ্জার আরএনএ হল এক ধরনের আরএনএ যা শরীরে প্রোটিন তৈরির জন্য প্রয়োজনীয়।  mRNA ভ্যাকসিন অন্যান্য কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের মতো হাতের ওপরের দিকের পেশিতে দেওয়া হয়। এটি শরীরের ভিতরে পৌঁছে কোষে স্পাইক প্রোটিন তৈরি করে। করোনা ভাইরাসের ওপরেও স্পাইক প্রোটিন পাওয়া যায়। যখন শরীরে প্রোটিন তৈরি হয়, তখন আমাদের কোষগুলি এমআরএনএ ভেঙে তা সরিয়ে দেয়। এরপর আমাদের কোষের স্পাইক প্রোটিন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সঙ্গে লড়াই করতে থাকে এবং স্পাইক প্রোটিন ক্রমে নষ্ট হয়ে যায়। এর সঙ্গে করোনা ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনও ধ্বংস হয়ে যায়। 

দেশীয় mRNA ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দেওয়া ছাড়াও মঙ্গলবার ভারতের ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল সিরাম ইনস্টিটিউটের  কোভোভ্যাক্স (Covovax) কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকেও অনুমোদন দিয়েছে, যা ৭ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের দেওয়া যাবে৷ গত ২৮ ডিসেম্বর প্রাপ্তবয়স্কের উপর কোভোভ্যাক্সের নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে ছাড়পত্র পাওয়া গিয়েছিল। তার পর, ৯ মার্চ ১২-১৭ বছরের জন্যও করোনার এই প্রতিষেধক ব্যবহারে অনুমতি দেয় ডিসিজিআই।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles