মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দই, পনির, মাছ, মাংস, চাল, ডাল, আটা, গুড়, মধু, মুড়ি মতো গোড়া থেকেই প্যাকেটবন্দি এবং লেবেল সাঁটা পণ্যে বসানো হল ৫ শতাংশ জিএসটি (GST)। চেকবই ইস্যু করতে ব্যাংকগুলি যে ফি নেয়, তাতেও দিতে হবে ১৮ শতাংশ জিএসটি। জিএসটি পর্যালোচনা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের (Nirmala Sitharaman) নেতৃত্ব মঙ্গলবার থেকে চণ্ডীগড়ে চলছে দুদিন ব্যাপী বৈঠক। সেখানে এদিন ১২ শতাংশ করের আওতায় আনা হয়েছে হোটেলে দৈনিক ১০০০ টাকার কমের ঘরভাড়া, মানচিত্র ও চার্টকেও। এতদিন এগুলিতে কর দিতে হত না। তবে মোড়ক, লেবেল এবং ব্যান্ড নাম ছাড়া যে সব পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলিতে অবশ্য এখনও বহাল রয়েছে ছাড়। এছাড়াও কর ফাঁকি রোধেও একাধিক ভাবনা রয়েছে জিএসটি পরিষদের।
আরও পড়ুন : শীঘ্রই ২৮% জিএসটি ধার্য হবে অনলাইন গেমেও? ভাবনা কেন্দ্রের
পরিষদ এদিন কর কাঠামো সংশোধনের সুপারিশ করেছে এলইডি লাইট, ভোজ্য তেল, আঁকার এবং ছাপার কালি, পণ্য তৈরির চামড়া, সোলার হিটারের মতো পণ্যের ক্ষেত্রে। সোলার ওয়াটার হিটার এবং ফিনিশড লেদারে ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত জিএসটি প্রযোজ্য হবে। ই-ওয়েস্টের ক্ষেত্রে জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বেড়ে হবে ১৮ শতাংশ।
জিএসটি চালুর সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার রাজ্যগুলিকে কথা দিয়েছিল, তা আদায়ের ক্ষেত্রে ঘাটতি মেটাতে তাদের পাঁচ বছর ক্ষতিপূরণ দেবে তারা। এ মাসেই ফুরোচ্ছে সেই মেয়াদ। রাজ্যগুলির দাবি, জিএসটি আদায়ে এখনও ঘাটতি হচ্ছে তাদের। তাই বাড়ানো হোক ক্ষতিপূরণের মেয়াদ। যদিও কেন্দ্রের যুক্তি, এর মেয়াদ বাড়ানোর মতো আর্থিক ক্ষমতা তাদের নেই।
আরও পড়ুন : জিএসটি বাবদ রাজ্যগুলির প্রাপ্য মেটাল কেন্দ্র, বাংলা কত পেল জানেন?
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের একটি গোষ্ঠীকে কর কাঠামো সংশোধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বে সেই মন্ত্রিগোষ্ঠীই মঙ্গলবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে একাধিক সুপারিশ করে। জানা গিয়েছে, আজ, বুধবার আলোচনা হবে ঘোড়দৌড়, জুয়া খেলা এবং অনলাইন গেমের ওপর ২৮ শতাংশ কর বসানোর প্রস্তাব নিয়েও।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে জিএসটির ভাগ রয়েছে ৫০ শতাংশ। ছত্তীশগড়ের মতো বিজেপি বিরোধী রাজ্যের দাবি, এটা বাড়িয়ে কেন্দ্র তাদের দিক ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ।
+ There are no comments
Add yours