তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
করোনার (COVID19) নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকার থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই। করোনা সংক্রমণ যাতে দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্য একাধিক সরকারি পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু তারপরেও করোনার চোখ রাঙানি রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনার নতুন প্রজাতি হৃদযন্ত্রের বাড়তি বিপদ বাড়াচ্ছে।
কেন হৃদযন্ত্র বিকলের আশঙ্কা? (COVID19)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনা ভাইরাস (COVID19) ত্বক, চোখ আর ফুসফুসের ওপর কড়া প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু সম্প্রতি দেখা গিয়েছে, হৃদযন্ত্রের ওপর এই ভাইরাসের প্রকোপ মারাত্মক। সম্প্রতি জার্নাল অফ আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে হৃদরোগের দাপট। তরুণ প্রজন্মের হৃদযন্ত্র বিকলের ঘটনা বেশি ঘটছে। করোনা ভাইরাসের জেরেই হৃদযন্ত্রের শক্তি কমছে, এমন একাধিক উদাহরণ পাওয়া গিয়েছে।
ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, করোনার নতুন প্রজাতি সবচেয়ে বেশি হৃদযন্ত্রের উপরেই প্রভাব ফেলছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই নতুন প্রজাতিতে যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের একাংশ আগেও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বারবার আক্রান্ত হওয়ায় তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। পাশপাশি করোনা আক্রান্তের ফুসফুসের সমস্যা বাড়ছে। ফলে, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। আর তার জেরেই দেহের রক্তচাপ ওঠানামা করছে। ফলে, হৃদযন্ত্রের শক্তি কমছে। হৃদযন্ত্র বিকল হওয়ার আশঙ্কাও বাড়ছে।
কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা? (COVID19)
চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, করোনা পরবর্তী সময়ে স্বাস্থ্যের বিষয়ে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। না হলে যে কোনও বড় বিপদ ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, করোনা আক্রান্তের সুস্থ হয়ে ওঠার পরে খাদ্যাভ্যাস থেকে জীবনযায়, সব কিছুতেই বাড়তি নজরদারি প্রয়োজন। যেহেতু এই করোনার (COVID19) প্রজাতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে, তাই সুস্থ হওয়ার পরেও নিয়মিত রক্তচাপ মাপা জরুরি। রক্তচাপ লাগাতার ওঠানামা করলে কিংবা ধারাবাহিক উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। তাছাড়া, ওজনের বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, স্থূলতা কোলেস্টেরল সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করে। যা হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই করোনার পরে কম তেলমশলা যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। কিন্তু পুষ্টির দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। কারণ, করোনার পরে দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। তাই চোখ, ত্বক, লিভার সহ একাধিক অঙ্গে নানান সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত সিদ্ধ ডিম, দুধ, খিচুড়ি, আপেল, লেবু খাওয়া দরকার। তবেই দেহে প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান হবে। তবে, চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়ম মাফিক যোগাভ্যাস করতে হবে। রক্তচাপ ঠিক রাখতে, হৃদপিণ্ডের কার্যশক্তি বাড়াতে যোগাভ্যাস সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরে নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট যোগাভ্যাস করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours