মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রপতি (President) পদে এনডিএ (NDA)-র বাজি হতে চলেছেন তিনি। দ্রৌপদী মুর্মুকে (Draupadi Murmu) এ খবর প্রথম দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) স্বয়ং। বার দশেক চেষ্টা করেও ফোনে পাননি তিনি। পরে অবশ্য সে খবর দেন দ্রৌপদীকে। রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হওয়ার আগাম শুভেচ্ছাও জানান তিনি। সরকারি সূত্রেই এখবর মিলেছে।
সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে শপথ নেন দ্রৌপদী মুর্মু। তিনিই দেশের কনিষ্ঠতম রাষ্ট্রপতি। দেশের প্রথম জনজাতি সম্প্রদায়ের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতিও তিনিই। এদিন তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা। সংসদের সেন্ট্রাল হলে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে শপথ নেন তিনি। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে দ্রৌপদীর রাইসিনা হিলসের যাত্রাপথ মোটেই সুগম ছিল না। যে মুহূর্তে রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ প্রার্থী হিসেবে তাঁর নামে সিলমোহর পড়ে, তখনই তাঁকে সেই সুখবর জানাতে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্রৌপদীকে সুখবর পৌঁছতে এবং আগাম শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে সেদিন বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মোদিকে।
আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছরে তেরঙ্গা শাড়ি পরে রাষ্ট্রপতি পদে শপথ দ্রৌপদী মুর্মুর
সরকারি সূত্রে খবর, সেদিন মোদি বার দশেক দ্রৌপদীকে ফোনে ধরার চেষ্টা করেন। যদিও লাইন পাওয়া যায়নি। ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের এক প্রত্যন্ত গ্রামে দুর্বল নেটওয়ার্কের কথা সরকারি কর্তাদের অজানা নয়। তাও চেষ্টা করে যান তাঁরা। অন্য কোনও উপায় না দেখে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকরা খুঁজে বের করেন দ্রৌপদীর গ্রাম রায়রঙ্গপুরের স্থানীয় বিজেপি নেতা ও দ্রৌপদীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক বিকাশচন্দ্র মাহাতর ফোন নম্বর। যখন তাঁর কাছে পিএমওর ফোন যায়, তখন তিনি তাঁর নিজের দোকানে কাজ করছিলেন। ফোনের ওপার থেকে আর্জি জানানো হয়, ম্যাডাম মুর্মুর সঙ্গে তাড়াতাড়ি কথা বলান, প্রধানমন্ত্রীজি কথা বলতে চান। এর পরেই পড়ি-কি-মরি করে সাইকেল চালিয়ে দ্রৌপদীর বাড়ির দিকে রওনা দেন বিকাশ। পথে দুবার তাঁর ফোনের সংযোগ কেটে যায়। শেষমেশ দ্রৌপদীর বাড়িতে পৌঁছান বিকাশ। পিএমও থেকে ফের ফোন যায় বিকাশের কাছে। নিজের ফোন দ্রৌপদীর হাতে তুলে দিয়ে সরে যান বিকাশ। প্রধানমন্ত্রী শুভেচ্ছা জানান দ্রৌপদীকে।
আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী দেশ! দ্রৌপদী মুর্মুর শপথগ্রহণ নিয়ে প্রতিক্রিয়া মোদির
+ There are no comments
Add yours