মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘শুভনন্দন’! মুখ্যমন্ত্রীর আবিষ্কৃত নয়া বাংলা শব্দ, যার অর্থ উদ্ধার করতে গিয়ে কালঘাম ছুটছে ভাষাবিদদের। পয়লা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে দিঘায় প্রথম এই শব্দ ব্যবহার করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 'হাঁস ছিল সজারু, হয়ে গেল হাঁসজারু'। অনেকেই রসিকতার ছলে বলছেন এটা অনেকটা আবোল তাবোলে সুকুমার রায়ের হাঁসজারু শব্দের মতো। যে বাংলা শব্দের নেই কোনও অর্থ বা স্বীকৃতি। এমন জোড়কলম শব্দ বাংলা অভিধানেও মেলে না। কিন্তু তাতে কী! হিন্দু বাঙালির পয়লা বৈশাখ হোক বা অক্ষয় তৃতীয়া, মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা বয়ে আসে এই শব্দ বেয়ে। কিন্তু ইদের বেলায় অবশ্য ভিন্ন নিয়ম! সেখানে 'শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন' শব্দ দুটি ব্যবহার করেন মমতা বন্দোপাধ্যায়।
শব্দচয়নে এমন পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ কেন করেন মাননীয়া?
ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, আসলে এখানেও ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি। একধরনের সংখ্যালঘু তোষণের উদ্দেশ্যেই দুটি আলাদা উৎসবে, আলাদা ধরনের শব্দের ব্যবহার করা হয়। স্বীকৃত শব্দ ইদে এবং অর্থহীন শব্দ অক্ষয় তৃতীয়ায়। বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশ এ প্রসঙ্গে টেনে আনছেন ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য। প্রকাশ্য সাংবাদিক সম্মেলনে সেদিন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেছিলেন, "আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে আমি সংখ্যালঘু তোষণ করি, বেশ করেছি, যে গরু দুধ দেয়, আমি তার লাথি খেতে প্রস্তুত।"
তোষণে পিছিয়ে নেই মমতার (Mamata Banerjee) পুলিশও
মুখ্যমন্ত্রীর মতো তোষণের একই রাস্তায় হাঁটছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশও। দোলযাত্রা হোক বা কালীপুজো শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তারা বলে দিচ্ছে, বিবাদ এড়িয়ে চলুন। উৎসবের দিন কাউকে আঘাত করবেন না।
অথচ একই পুলিশ ইদের শুভেচ্ছা বার্তায় শুধুই অভিনন্দন জানাচ্ছে। সেখানে বিবাদ এড়িয়ে চলা বা কাউকে আঘাত না করার কোনও বার্তা নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আমলে সংখ্যালঘু তোষণের প্রতিষ্ঠানকরণ হয়ে গেছে। তাই পিছিয়ে নেই প্রশাসনও।
#WBP সবাইকে জানায় পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর-এর শুভেচ্ছা ! এই পবিত্র ঈদ আপনার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি !#EidMubarak#WBP4U pic.twitter.com/qv49heXD37
— West Bengal Police (@WBPolice) April 22, 2023
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours